বৃহঃস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২

ডালিম: প্রতিদিনের ‘লাল রত্ন’, যা স্বাস্থ্য ও সুন্দরের খনি

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৩৫

সংগৃহীত

ডালিম, প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের স্বাস্থ্যরক্ষার প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে পরিচিত। লালচে দানা বা আরিল শুধু চোখের আরাম নয়, বরং এতে লুকিয়ে আছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন নিয়মিত ডালিম খেলে শরীরে ঘটে নানা ইতিবাচক পরিবর্তন।

হৃদ্‌যন্ত্রের সুরক্ষা

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (NIH)-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, টানা আট সপ্তাহ ডালিমের রস পান করলে রক্তচাপ ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমে যায়, পাশাপাশি ‘ভালো’ এইচডিএল কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। এতে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে এবং রক্তনালির প্রদাহও হ্রাস পায়।

ত্বক উজ্জ্বল ও বলিরেখা কমায়

২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ডালিমের নির্যাস গ্রহণ ত্বকের কোলাজেন ধরে রাখে এবং তৈলাক্ত ভাব কমায়। ফলে ত্বক হয় মসৃণ ও প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল।

প্রদাহ কমায় ও ব্যথা প্রশমিত করে

ডালিমে থাকা পিউনিকালাজিন প্রদাহবিরোধী হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত খেলে শরীরের প্রদাহ কমে, ক্লান্তি ও নানা ধরনের ব্যথাও প্রশমিত হয়।

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

২০২৩ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ডালিম খেলে মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এক বছর নিয়মিত ডালিমের রস পানকারীরা শেখার ক্ষমতা ও মনে রাখার দক্ষতায় উন্নতি দেখেছেন।

হজম ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

ডালিম প্রাকৃতিক প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এতে হজম মসৃণ হয়, গ্যাস-অম্বল কমে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তে শর্করাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য ডালিম উপকারী। এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে রক্তে শর্করার ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

পেশি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে

ব্যায়ামের পর ডালিমের নির্যাস ক্লান্তি দূর করে, পেশিতে প্রদাহ কমায় এবং শক্তি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।

প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে

মাঝারি আকারের একটি ডালিমে থাকে দৈনিক প্রয়োজনীয় ভিটামিন-সি-এর প্রায় ৩২ শতাংশ। এছাড়া এতে রয়েছে ফোলেট, পটাশিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে মৌসুমি অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে।

কিডনি ও টক্সিন দূর করে

ডালিমের নির্যাস কিডনিতে পাথর জমার প্রবণতা কমায় এবং মূত্রতন্ত্র পরিষ্কার রাখে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

NIH-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০ দিন ডালিমের রস গ্রহণ করলে অতিরিক্ত ওজন, রক্তে গ্লুকোজ, ইনসুলিন ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top