শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী অভ্যাস
লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:২৯
প্রাণায়াম মূলত শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের একটি প্রাচীন যোগাভ্যাস। ‘প্রাণের আয়াম’ অর্থাৎ জীবনের দীর্ঘায়ু অর্জনের জন্য শ্বাস গ্রহণ, ধারণ এবং ত্যাগকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এটি সম্পাদিত হয়। যোগশাস্ত্রে নাকের সাহায্যে ফুসফুসে বাতাস প্রবেশ করানো এবং বের করার বিশেষ নিয়মবদ্ধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাণায়াম করা হয়।
প্রাণায়াম অভ্যাসের জন্য মূল দিকগুলো:
উপযুক্ত স্থান: নির্মল বায়ু বিশিষ্ট পরিবেশে সকাল বা সন্ধ্যায় প্রাণায়াম করা উত্তম। সূর্যোদয়ের আগে বাতাস বিশুদ্ধ না হলে তা করা ভালো।
বিহিত কাল: প্রাতঃক্রিয়াদির আগে, গোসলের পরে বা শ্রমসাধ্য কাজ/ব্যায়ামের ঠিক পরে প্রাণায়াম করা উচিত নয়।
পরিমিত আহার: ভরপেটে প্রাণায়াম বা আসন-ব্যায়াম করা উচিত নয়।
নাড়িশুদ্ধি: প্রাণায়ামের আগে নাড়ি শোধন (যেমন অনুলোম-বিলোম) অভ্যাস করা বিশেষ উপকারী।
প্রাণায়াম অভ্যাসে মন শান্ত, ধীর ও একাগ্র থাকা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর বয়স ৮–৯ বছর থেকে শুরু করে অভ্যাস করা যায়, তবে বয়স বেশি হলে অভিজ্ঞ শিক্ষকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
প্রাণায়ামের উপকারিতা:
দেহের প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করে।
জরা, ব্যাধি ও অকালমৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে।
ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
প্রায় ২০ প্রকার কফের সমস্যায় সহায়ক।
স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী ও কার্যকরী রাখে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত ও সঠিকভাবে প্রাণায়াম অভ্যাস করা শরীর ও মনের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।