জিরা ভেজানো পানির উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৬
হজমশক্তি বাড়াতে বা পেট ফাঁপা কমাতে ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যে অন্যতম হলো জিরা ভেজানো পানি। এই সাধারণ মসলা হজম, প্রদাহ-বিরোধী এবং বিপাক বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও ভরপুর এই পানীয় নিয়মিত পান করলে শরীরে নানা ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
জিরা ভেজানো পানির উপকারিতাঃ
হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেট ফাঁপা কমায়
জিরা হজম এনজাইমকে উদ্দীপিত করে, যা খাবার ভাঙতে সাহায্য করে। এক মাস ধরে রাতের নিয়মিত পান এই পানীয় পেট ফাঁপা ও অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। জার্নাল অফ ফুড সায়েন্সে প্রকাশিত গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, জিরা হজমকারী এনজাইমের কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে।
বিপাক ক্ষমতা বাড়ায়
রাতে জিরা ভেজানো পানি পান করলে বিপাকশক্তি বৃদ্ধি পায়। এতে থাকা সক্রিয় যৌগ খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত পান করলে ধীরে ধীরে শরীর হালকা ও সতেজ মনে হয়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
জিরা রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি ও হ্রাস কমাতে সাহায্য করে। জার্নাল অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড মেটাবলিক ডিসঅর্ডারে প্রকাশিত পরীক্ষায় দেখা গেছে, জিরা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণকারীদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক ছিল।
ঘুমের মান উন্নত করে
জিরা পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করে, যা গভীর ও আরামদায়ক ঘুমে সহায়ক। এক মাস নিয়মিত পান করলে শরীর হালকা ও আরামদায়ক অনুভূত হয়।
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি
জিরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে, যা ত্বককে নিস্তেজতা ও ব্রণ থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত পান করলে ত্বকে সূক্ষ্ম উজ্জ্বলতা এবং ঝলমল অনুভূত হয়।
ডিটক্সিফিকেশন সহায়তা
যদিও শরীর স্বাভাবিকভাবেই ডিটক্সিফাই করে, জিরা ভেজানো পানি এই প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে। এটি পরিপাকতন্ত্রকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে ধীরে ধীরে হালকা ও সতেজ রাখে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডিটক্স ডায়েটের তুলনায় জিরা ভেজানো পানি হজম, বিপাক ও ত্বকের জন্য সহজ, কার্যকর এবং প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।