বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গণমাধ্যমের মালিকানা-পরিচালনায় ব্যাপক সংস্কার চান সাংবাদিকরা

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৮ আগষ্ট ২০২৪, ১৪:১৫

ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাধর শ্রেণির রাহুমুক্ত সাংবাদিকতা নিশ্চিতে গণমাধ্যমের মালিকানা, পরিচালনানীতিসহ নানান বিষয়ে ব্যাপক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সর্বস্তরের সাংবাদিকরা। তারা বলেছেন, করপোরেট মালিকদের স্বার্থরক্ষা ও রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিমূলক সাংবাদিকতা পেশাদার গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকার নষ্টের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এ সংকট কাটাতে গণমাধ্যমের সামষ্টিক চরিত্র পাল্টে জনবান্ধব করার দাবি জানান তারা।

গণমাধ্যম খাত সংস্কার করে কর্মক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত, গণমানুষের কথা বলার নিশ্চয়তাসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা। শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়। 

আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানানো হয়। ‘গণমাধ্যম সংস্কার উদ্যোগ’ ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিকদের একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম।

মতবিনিময় সভায় ১৩ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত সাংবাদিকদের হত্যার বিচার; ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে হতাহত গণমাধ্যমকর্মী ও আক্রান্ত গণমাধ্যমকে ক্ষতিপূরণ ও বন্ধ সব গণমাধ্যম খুলে দেওয়া; গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য অভিন্ন ওয়েজ বোর্ড প্রণয়ন ও নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন; শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ বণ্টন; উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অগণতান্ত্রিক উপায়ে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের দখলদারত্বের প্রবণতা বন্ধ করা; ভয়ভীতি দেখানো ও নিয়ন্ত্রণের প্রবণতা বন্ধ করা; গণমাধ্যম পরিচালনার ধরনসহ সার্বিক বিষয়ে সংস্কারের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন; নিবর্তনমূলক আইনের সব ধারা বাতিল; আইসিটি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহার; সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের বিচার; বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের গুম, নির্যাতন ও হয়রানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার এবং সব গণমাধ্যম যেন গণমানুষের মুখপত্র হিসেবে কাজ করতে পারে, সেই নিশ্চয়তার বিধান করা।

সভায় লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, এখন প্রচণ্ড আত্মসমালোচনা দরকার। সাংবাদিকতার জগতে এখন তিনটি অভ্যুত্থান প্রয়োজন। প্রথমত, করপোরেট স্বার্থের বিরুদ্ধে; দ্বিতীয়ত, সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে; তৃতীয়ত, নিজেদের লোভ ও পক্ষপাতের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান দরকার।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক খায়রুজ্জামান কামাল, সেলিম সামাদ, একাত্তর টেলিভিশনের শাহনাজ শারমিন, নিউ এইজের মঈনুল হক, ডেইলি স্টারের সিনিয়র সাংবাদিক বাহরাম, মাই টিভির মাহবুব সৈকত, দ্য বিজনেস পোস্টের আশরাফুল ইসলাম রানাসহ অনেকে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top