সাংবাদিকদের বেতন ৩০ হাজারের নিচে হলে পত্রিকা বন্ধ: প্রেস সচিব
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১৬:৪৩

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংবাদকর্মীদের বেতন কোনো প্রতিষ্ঠান ৩০ হাজার টাকার নিচে দিলে তা বন্ধ করে দেয়া উচিত। সরকার চায় সংবাদকর্মী যেন তাদের ন্যায্য বেতন পায়। সংবাদকর্মীদের বেতন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাংবাদিক ইউনিয়ন ব্যর্থ। বেতন বাড়ানোর জন্য আরেকটি আন্দোলন করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের একটা মিনিমাম বেসিক থাকতে হবে। সেটা ৩০ হাজার বা ৪০ হাজার টাকা হোক।
শফিকুল আলম বলেন, ‘সাংবাদিকতা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটা রক্তচোষার মতো হয়ে গেছে। একজন সাংবাদিককে পাঁচ হাজার, ১০ হাজার টাকা বেতন দেন মালিকরা। আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সাংবাদিক ভালো বেতন পাক।
বেতন নিয়ে আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতা এখন বাংলাদেশে একধরনের শোষণমূলক শিল্পে পরিণত হয়েছে। সাংবাদিকদের রক্ত কীভাবে চুষে খাওয়া যায়, সেটা করা হচ্ছে। বছরের পর বছর চাকরি করলে বেতন দেয় না। সাংবাদিকদের বেতন বাড়ানোর জন্য নতুন করে একটা মুভমেন্ট করা উচিত।’
বেতন না দিলে গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা চাই প্রত্যেক সাংবাদিক যেন ভালো বেতন পান। মিনিমাম যাতে একটা ফ্লোর থাকে। বাংলাদেশের সব সাংবাদিকদের জন্য একটা ফ্লোর বেতন থাকতে হবে। একটা মিনিমাম বেসিক থাকতে হবে। এটা ৩০ হাজার অথবা ৪০ হাজারই হোক, এর নিচে নামা যাবে না। এর নিচে যে দেবে, সে পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমাদের খারাপ জার্নালিজম করার দরকার নেই। যারা খেটে জার্নালিজম করবেন, তাদের ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টির রাইট দিতে হবে এবং তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাদের একটা বেসিক অনুযায়ী বেতন দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে শেখ হাসিনার আমলে কোনো মিডিয়া ফ্রিডম ছিল না। আপনাদের (উপস্থিত সাংবাদিক) হাত দিয়েই এই হাসিনাকে আমরা পুশ ব্যাক করেছি। বাংলাদেশে অকুতোভয় সাংবাদিক থাকলে তারা হলেন মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক এবং ফটোসাংবাদিক। এই আন্দোলনে তাদের অবদান স্মরণীয়।’
আলোচনা সভায় এনসিপির জ্যেষ্ঠ মুখ্য সমন্বয়কারী আব্দুল হান্নান মাসউদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।