শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে নেওয়া হয়েছে ৫টি সিদ্ধান্ত

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলেও ১৫ অক্টোবরের পর খুলে দেওয়া হবে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে ৫ দফা সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সভার ৫ দফা সিদ্ধান্ত হল -

১. যদিও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায় তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে কোনো একটি সংখ্যা বিবেচনা করা যায় কিনা সে বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ চাওয়া হবে।

২. যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল রি-ওপেনিং প্ল্যান করে রেখেছে তারপরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে এ রি-ওপেনিং প্ল্যানকে চূড়ান্ত করবে সাতদিনের মধ্যে।

৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা তার জন্য প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং সেল গঠন করবে এবং প্রতিদিন প্রতিবেদন তৈরি করবে। ৭ দিনের মধ্যে মনিটরিং প্রতিবেদন তৈরি করার একটি গাইডলাইন তৈরি করা হবে।

৪. সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীর টিকাগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। টিকা পাওয়া শিক্ষার্থীদের শরীরে এন্টিবডি হওয়ার জন্য ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ তাদের বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

৫. ১ সেপ্টেম্বর যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে আবার। ওই সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এবং তা গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১