ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় খুন হয় আলিফ
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৪৯
খুলনার ফুলতলা উপজেলার এমএম (মোজাম মহলদার) কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের ছাত্র সৈয়দ আলিফ রোহান (২০) হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার আশুলিয়া থানার গাজীর চট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- কলেজছাত্র তাছিন মোড়ল (২২) ও সাব্বির ফরাজী (২৩)।
সিআইডি জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সময় ইভটিজিং ও হট্টগোলের প্রতিবাদ করায় আলিফকে হত্যা করা হয়। পরে এই ঘটনায় নিহতের বাবা একটি হত্যা মামলা করেন।
বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি বলেন, ঘটনাটি দেশজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে সিআইডি ছায়াতদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে রি-ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যয়নরত তাছিন ও সাব্বিরসহ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপর সিআইডির এলআইসির একটি চৌকস টিম তাদের গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
মুক্তা ধর বলেন, ফুলতলার পায়গ্রাম কসবার বাসিন্দা আলিফের বাড়ির পাশে ‘রহমানিয়া এলিমেন্টারি স্কুল’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছিল। গ্রেফতাররা ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে মেয়েদের উত্যক্ত করাসহ হট্টগোল করতে থাকলে আলিফ এলাকার অন্য ছেলেদের নিয়ে এর প্রতিবাদ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাছিন, সাব্বির ও শান্ত গাজীসহ অন্যরা আলিফকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, গত ৩১ মার্চ সকালে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা আলিফকে এমএম কলেজ মাঠে আক্রমণ করে। সাব্বিরের হুকুমে তাছিন হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে আলিফের বুকের ডান পাশে আঘাত করে। অন্যরাও বিভিন্নভাবে তাকে আঘাত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সহপাঠীরা তাকে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। সেখানে নেওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।