সম্পত্তি নিয়ে ভাগিনার হাতে মামা খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২২, ০৪:৪৬
নরসিংদীর পলাশ এলাকায় সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে আতাউর (৩৮) নামে একজনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে তার ভাগিনা। এ ঘটনায় ভাগিনা নিয়ন শেখকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি জানায়, অভিযুক্ত নিয়নের আরও এক ভাই ও এক বোন রয়েছে। নিয়নের বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেয় তাদের সম্পত্তি দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেবেন। কিন্তু সম্পত্তি সমানভাবে ভাগের বিষয়ে নাখোশ ছিল নিয়ন। এ নিয়ে গত ১৮ এপ্রিল নিয়ন তার মা ও বোনের সঙ্গে ঝগড়া করে। এর পর মামা হিসেবে ঝগড়ার বিষয়ে প্রতিবাদ করায় আতাউরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে নিয়ন। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত ২৭ এপ্রিল ভিকটিমের স্ত্রী মোসা. দিলরুবা আক্তার (২২) বাদী হয়ে নিয়ন শেখকে আসামি করে পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ে করেন।
বুধবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।
এসএসপি মুক্তা ধর বলেন, আপন ভাগিনার হাতে মামা খুন, ঘটনাটি দেশজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার পাশাপাশি সিআইডিও ছায়াতদন্ত শুরু করে। ছায়াতদন্তের একপর্যায়ে মঙ্গলবার (১৭ মে) গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানার বাগবাড়ী থেকে নিয়নকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
তিনি বলেন, নিয়নের এক ভাই ও বোন রয়েছে। সে সবার ছোট। গত মাসে বাবা-মা তাদের সম্পত্তি সবাইকে সমানভাবে বণ্টন করে দেওয়ার কথা বলে। এ সিদ্ধান্তে নাখোশ হয় নিয়ন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় নিয়ন তার মাকে বাড়িতে পেয়ে তার ওপর মারমুখী আচরণ করে। এ বিষয়ে তার মামাবাড়ির লোকজন সংবাদ পেয়ে নিয়ন শেখের মা শেফালী বেগম ও তার বোন বিথী আক্তারকে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। পরের দিন ১৮ এপ্রিল ৫টার দিকে বিথী আক্তার তার বাবার বাড়ি থেকে তার গরুটি মামার বাড়ি নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে নিয়ন তার মামার বাড়ি যায়। আর গরু নিয়ে যাওয়ার কারণে নিয়ন তার মা ও বোনকে মারধর করতে থাকে। এ সময় মামা আতাউরের প্রতিবাদ করলে নিয়ন তার বুকে ছুরিকাঘাত করে। এতে আতাউর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর আহতাবস্থায় আতাউরকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেক হাসপাতালে আতাউরের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে বনশ্রীর অ্যাডভান্স হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওইদিন রাতে তার আতাউর মৃত্যু হয়।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।