এদিকে মর্টার মারলে ওদিকেও যাতে মর্টার যায়

জনগণের ঐক্যের আন্দোলন গণবিস্ফোরণে পরিণত হবে: মির্জা ফখরুল

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:০৯

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, এই সরকারের তো জনগণের শক্তি নেই। সে টিকে আছে অন্যদের শক্তিতে। যে কারণে তার নিজের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে তার যে ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন সেই ভূমিকা সে নিতে পারে না।

তিনি বলেন, নতজানু পররাষ্ট্র নীতি ছাড়া সে টিকেও থাকবে না। চীন ও ভারতকে কনভিন্সড করে এদিকে মর্টার মারলে ওদিকেও যাতে মর্টার যায়, সে ব্যবস্থা অবশ্যই তাকে করতে হবে।

রোববার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের দমনপীড়নের চিত্র তুলে ধরেন।

সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চলবে বলে জানান তিনি। ফখরুল বলেন, এই সরকারকে অবশ্যই সরে যেতে হবে এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবি আদায়ে আন্দোলনের কর্মসূচি চলতেই থাকবে। ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে কর্মসূচি আছে। এরপর আবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বৃহত্তর প্লাটফর্ম বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা এখনো চলছে। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে এটাকে চূড়ান্ত করে আমরা জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।

মির্জা ফখরুল বলেন, কর্তৃত্ববাদী গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষদের হত্যা, গ্রেপ্তারের যে অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে তা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। যারা নিহত হয়েছেন তাদের ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত করে হত্যাকারী ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানাচ্ছি। হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো ছলের অভাব নেই। ওরা প্রতিমুহূর্তে ছল তৈরি করে এবং ছল তৈরি করে আন্দোলনকে বিপথে পরিচালিত করে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে। সন্ত্রাসে তাদের জন্ম, সন্ত্রাস দিয়ে তারা রাজনীতি করে এবং সন্ত্রাস দিয়ে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, রাজপথের আন্দোলনে অলরেডি জনগণ সম্পৃক্ত হচ্ছে- এটাতেই আওয়ামী লীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। জনসমুদ্র দেখে তারা ঘাবড়ে গেছে, ভয় পেয়েছে। এজন্য তারা পাল্টা ভয় দেখাতে শুরু করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি সবসময় বলি, আওয়ামী লীগের যে বডি কেমিস্ট্রি আছে, তা হলো সন্ত্রাস। সন্ত্রাসে তাদের জন্ম, সন্ত্রাস দিয়ে তারা রাজনীতি করে এবং সন্ত্রাস দিয়ে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শাওন হত্যায় মামলা দায়ের করেছি। আমরা প্রত্যেক খুন-জখম-হত্যার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো। একদিকে রাজপথে আন্দোলন করছি। এটাকে আরও বেগবান করব।

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top