সাংগঠনিক পরিচয়ের অন্তরালে মাদক কারবারি ও ভিআইপি কল গার্ল

জামায়াত নেতার সুন্দরী কন্যার কুকর্ম ফাঁস: সংবাদ প্রকাশে দেখে নেয়ার হুমকি

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:০৩

কথিত নেত্রী দোলনা আক্তার ওরফে নুশরাত জাহান দোলনা

কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ীর সাবেক জামায়াত নেতার কন্যা দোলনা আক্তার ওরফে নুশরাত জাহান দোলনা। ছাত্রলীগের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক হয়ে বনে গেছেন কোটিপতি। সাংগঠনিক পরিচয় ও সুন্দরী তকমা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

সাংগঠনিক পরিচয়ের অন্তরালে বড় মাদক কারবারি। ভিআইপি কল গার্ল হিসেবেও কাজ করেন তিনি।আর এভাবেই এলাকায় ভাঙ্গা ঘরের জায়গায় নির্মাণ করেছেন আলিশান বাড়ি।

এ বিষয়ে বিএমএফ টেলিভিশনে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন কথিত নারী নেত্রী দোলনা আক্তার। প্রথমে চ্যানেলের প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর বিএমএফ টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালককেও ফোনে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী থানায় জিডি করা হয়েছে।

জানাগেছে, দোলনার পিতা কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কবির মামুদ গ্রামের দুলাল হোসেন। একসময় জড়িত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসাবে। পরে ফুলবাড়ি বিএনপি কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবেও কাজ করেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। মেয়ের পাঠানো অবৈধ টাকায় সংসার চালাচ্ছেন দুলাল।

দোলনার মা আঞ্জুমান আরা বেগম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ফুলবাড়ী জছি মিঞা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় বিয়ে হয় দোলনার। পরে বেপরোয়া চালচলনের কারণে ঘটে বিবাহ বিচ্ছেদ।

এদিকে, সুন্দর চেহারা পুঁজি করে এলাকার অনেক যুবকের সঙ্গে গড়ে ওঠে অবৈধ সম্পর্ক। অনেকের সাথেই প্রেমের অভিনয় করে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। অধিক সুন্দরী হওয়ায় মানুষের সাথে সখ্যতা গড়তে বেশি সময় লাগতো না দোলনার। বিয়ে বিচ্ছেদের পর ২০১৪ সালে এসএসসি পাশ করেন। ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ২০১৮ সালে ঢাকায় পাড়ি জমান দোলনা আক্তার। ধানমন্ডির স্টেট ইউনিভার্সিটির ল’ বিভাগের শিক্ষার্থী তিনি।

ঢাকায় গিয়ে কুমারী পরিচয় দিয়ে নিজের নাম রাখেন নুশরাত জাহান দোলনা। ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাগিয়ে নেন সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক পদ। গোপন করেন পিতার জামায়াতে ইসলামীর সাইনবোর্ড। ধানমন্ডির দামি ফ্ল্যাটে বসবাস করেন তিনি। ব্যবহার করেন দামি গাড়ি আর আইফোন।

ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশের সংবাদকর্মীরা কথিত এই নারী নেত্রীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির খুলনা বিভাগীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় সম্পাদক নূরুন্নবী সামদানী বলেন, আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কথিত নেত্রী দোলনাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সূত্র: বিএমএফ টেলিভিশন, সময় ট্রিবিউন




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top