এ বছর পরীক্ষার্থী কমেছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৮৩ জন

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৬ নভেম্বর, কোচিং বন্ধ থাকবে ৪২ দিন

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২২, ০৪:২৪

এইচএসসি পরীক্ষার্থী

আগামী ৬ নভেম্বর থেকে সারা দেশে একযোগে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এ পরীক্ষা ঘিরে প্রশ্নফাঁসের গুজব এড়াতে এবং নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা আয়োজনে আগামী ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ নেওয়া হয়েছে।

বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাশেষে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ নির্দেশনা দেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার সারা দেশে ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। দেশের দুই হাজার ৬৪৯ পরীক্ষাকেন্দ্রে ৯ হাজার ১৮১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেবে।

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৬ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ১৩ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২২ ডিসেম্বর। অর্থাৎ ৩৭ দিনেই শেষ হবে এইচএসসির লিখিত পরীক্ষা।

পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এইচএসসিতে এবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি পরীক্ষা না নিয়ে তা সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নম্বর দেওয়া হবে।

প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও গত বছর করোনা মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। এ অবস্থায় গত বছর প্রায় ৯ মাস পিছিয়ে নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি আর ডিসেম্বরের শুরুতে নেওয়া হয় এইচএসসি পরীক্ষা। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর এইচএসসি পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা প্রত্যেকবারই বলি কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। কোচিং সেন্টার বন্ধ করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সম্ভব না। এই কাজটি করে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বন্ধ থাকে, কোথাও কোথাও কেউ বাইরে তালা লাগিয়ে করেন। দুএকটা আছে প্রকাশ্যেই করছেন, একটি কোচিং সেন্টারের আওতায় অনেক রকম কোচিং চলে। আইইএলটিএস, বিসিএস চলে। সেসব ক্ষেত্রে আমরা প্রশাসনকে বলেছি, আরও কঠোর হতে যেন আসলেই বন্ধ থাকে। যদি কোনো শিক্ষক তার বাড়িতে করছেন, যদি সেই তথ্য পাওয়া যায়, তথ্য পাওয়াটাও হয়তো কঠিন একেবারে ব্যক্তি পর্যায়ে; যদি তথ্য পাওয়া যায়, তবে অবশ্যই সেখানে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।

দীপু মনি আরও বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় আমাদের কাজগুলো একটু পিছিয়ে আছে। এখনো আমরা আশা করি, ১ তারিখেই বই দিতে পারবো। প্রেসগুলোর সঙ্গে আমাদের যেভাবে কথা হয়েছে, তাতে সেটি দিতে পারার কথা। বৈশ্বিক কারণে আমাদের পরীক্ষা পিছিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছে। সে রকম যদি আগে থেকে একেবারে আমরা বুঝতেই পারলাম না, হঠাৎ করে বিপর্যয় যদি না ঘটে আমরা এখনো বিশ্বাস করি সময় মতো বই দিতে পারবো। বৈশ্বিক কারণে বিদ্যুতের যে অবস্থা আছে, সেটা মনে করা হচ্ছে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। তারপরও আমরা আশাবাদী।

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top