বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২২, ০২:১৯
খুলনায় বিভাগীয় গণ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি'র কোনো নেতাকর্মীকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরের রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি একথা বলেন।
বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে আগে থেকে ওয়ারেন্ট (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা) রয়েছে তারা গ্রেপ্তার হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘খুলনায় কেন বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে, এখনো সঠিক তথ্য আমি জানি না। যতটুকু জানি বাস মালিকদের কিছু দাবি-দাওয়া ছিল। এখন সেই কারণেই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে কি না তা আমি নিশ্চিত নই। পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে সেটা নিয়মিত কাজের অংশ। যাদের নামে ওয়ারেন্ট আছে, যারা ভাঙচুর করে তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তবে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের কোনো বাধা নেই।’
সম্প্রতি বেশ কয়েকজন পুলিশকে অবসরে পাঠানো হয়েছে, আরও বেশকিছু পুলিশ সদস্যের নাম তালিকায় রয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা মনে করছেন পুলিশ বাহিনীতে আর থাকবে না, বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকতে পারে এমন ব্যক্তিরা বাহিনী থেকে চলে যায়। এছাড়াও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নিয়মিত এমন তালিকা দেওয়া হয়ে থাকে। যাদের ২৫ বছর বাহিনীতে সার্ভিস হয়েছে বা সদর দপ্তর মনে করে তাদের আর প্রয়োজন নেই, সেই জন্যেই এটা করা হয়ে থাকে।’
শিশুদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বলছে এতে ভোগান্তি বাড়বে, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কি মনে করছে? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য। সরকার মনে করে শিশু জন্মগ্রহণ করলো তখন থেকেই সে এনআইডি প্রাপ্য হবে। যে নম্বরটি তাকে দেওয়া হবে মৃত্যু পর্যন্ত ওই নম্বরটি তার থাকবে। মানুষ প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তখন ভোটার লিস্ট তৈরি করার জন্য শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যা বলছেন, সেটি তাদের নিজস্ব বক্তব্য। সরকার মনে করেন এনআইডিটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থাকা উচিৎ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নারী ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী সাড়া বিশ্বে সমাদৃত। নারীরা যে যেখানে কাজ করছেন সবাই দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। বাংলাদেশের প্রত্যেক এলাকায় যেখানেই গিয়েছি সেখানেই নারীদের প্রাধান্য দেখেছি। নারীরা নিজেদের যোগ্যতায় সামনে আসছে। আর এই কারণে আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে৷ আমাদের উন্নতি সম্ভব হয়েছে যার দুরদর্শিতায়, তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আমাদের দাবি ছিলো, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। যখন শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে দেশে ফিরলেন তিনি সারা দেশ ঘুরেছেন। সবার সঙ্গে দেখা করেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হত্যার বিচার করতে সারা দেশের মানুষকে একত্রে করেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।