জঙ্গলে ছোট ভাইকে গাছে বেঁধে রেখে পোশাককর্মী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২২, ০৫:১২
গাজীপুরে রাস্তা থেকে তুলে জঙ্গলে নিয়ে ছোট ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে এক পোশাককর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। গতকাল শুক্রবার গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার দক্ষিণ সালনা বাতানিয়া টেকনগপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গতকাল রাতে ভুক্তভোগীর মা জিএমপির সদর থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় আটক দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজন হলেন গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন বাড়িয়ালী এলাকার জসিম উদ্দিন (২২) ও বারবৈকা এলাকার মনির হোসেন (২৮)।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ বলেন, শুক্রবার দুপুরে ৪-৫ জন যুবক গাজীপুর মহানগরীর টেকনগপাড়া এলাকার রাস্তা থেকে এক কিশোরীকে (১৬) ও তার ছোট ভাইকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাদের পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ সালনার বাতানিয়া টেক এলাকার জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভুক্তভোগীর ছোট ভাইকে তারা গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে কিশোরীকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই যুবকরা।
তানভীর আরও বলেন, যুবকদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তির একপর্যায়ে ওই কিশোরী সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী আসাদ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ ঘটনার পর যুবকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় জসিম ও মনির নামের দুজনকে তিনিসহ স্থানীয় বাসিন্দারা হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এসময় নাসিম ও জাহেদুলসহ অপর তিনজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায়। সে গাজীপুরের টেকনগপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করে। শুক্রবার সকালে অন্য একটি পোশাক কারখানায় চাকরির ব্যাপারে কথা বলতে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে টেকনগপাড়া এলাকার এক বান্ধবীর বাসায় যায় সে। দুপুর ১২টার দিকে সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে ৪-৫ জন যুবক রাস্তা থেকে টেনে তাদের দক্ষিণ সালানার বাতানিয়া টেকের জঙ্গলে নিয়ে যান। সেখানে তার ভাইকে বেঁধে রেখে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তারা।
জিএমপির সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের ব্যবহৃত চাপাতি ও হাতুড়ি এবং বেঁধে রাখা শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারি দলের সদস্য।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী ও গ্রেপ্তার দুজন তাদের হেফাজতে রয়েছেন। ভুক্তভোগীর মা গতকাল রাতে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।