বড় ম্যাচে ভেঙ্গে পড়ার পুরোনো চেহারায় টাইগাররা
বড় ব্যবধানে নিজেদের লজ্জার হারের রেকর্ড ভাঙ্গল বাংলাদেশ
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ০৩:০৫
খর্ব শক্তির নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ পেল বড় হারের তিক্ত স্বাদ। বৃহস্পতিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) সুপার টুয়েলভের ম্যাচে প্রোটিয়াদের কাছে ১০৪ রানে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ ১০১ রান করতে সক্ষম হয়েছে। রান তাড়া করতে নেমেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৭ রান উঠতেই হারায় দুই ওপেনারকে। ৬ বলে ২ ছক্কায় ১৫ রান করে তৃতীয় ওভারে আউট হন সৌম্য সরকার। অ্যানরিখ নরজের বলে তিনি ক্যাচ দেন কুইন্টন ডি কককে। নরজের ওই ওভারেই বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিছুক্ষণ পর সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (১) ও আফিফ হোসেনও (১)। ৪৭ রানেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পাওয়ার প্লেতে খাওয়া এই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি টাইগাররা। লিটন দাসের ৩১ বলে ৩৪, মেহেদী হাসান মিরাজের ১৩ বলে ১১, তাসকিন আহমেদের ১৭ বলে ১০ ও মুস্তাফিজের ৩ বলে ৯ রানের কল্যাণে কোনোমতে এক শ রান পূরণ করে বাংলাদেশ। অ্যানরিখ নরজে ৪ ওভারে ১০ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। তাবরাইজ শামসির শিকার তিন উইকেট।
এরআগে, রাইলে রুশোর ৫৬ বলে ১০৯ ও কুইন্টন ডি ককের ৩৮ বলে ৬৩ রানে ভর করে ২০৫ রানের বড় স্কোর পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচসেরা হয়েছেন রুশো।
বাংলাদেশ প্রথম টি-২০ খেলে ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এ পর্যন্ত ১৪১ টি-২০ খেলা দলটির রানের ব্যবধানে এটাই সবচেয়ে বড় হার। এর আগে ২০০৮ সালে করাচিতে গিয়ে ১০২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেবার পাকিস্তান তুলেছিল ২০৩ রান। এবার প্রোটিয়ারা দুই রান বেশি তুলেছে। বাংলাদেশের হারের ব্যবধানও দুই রান বেড়েছে।
বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পরাজয় ৮৩ রানের। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে বড় ওই ব্যবধানে হেরেছিল টিম টাইগার্স। সেবার প্রোটিয়ারা তুলেছিল ২২৪ রান। হাশিম আমলা ৮৫ ও ডেভিড মিলার ১০১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। বাংলাদেশ করেছিল ১৪১ রান।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।