শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
নিজস্ব প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:১৫
আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। পৈশাচিক এ ঘটনার মাত্র দুদিন পর ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে পরাজয় শিকার করে পাকিস্তানি বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।
মূলত পরাজয় আসন্ন বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতেই সেদিন বুদ্ধিজীবী নিধনের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বেছে বেছে শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদদের হত্যা করে তারা।
প্রতি বছরের ন্যায় যথাযোগ্য মর্যাদায় এবারও শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আজ বুধবার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীতে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে শহিদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা এবং যুদ্ধাহত ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা আজ সকাল ৭টা ২২ মিনিটে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে সর্বস্তরের জনগণ।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। এদিন সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধের দায়ে বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অনেকের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তাদের মধ্যে বুদ্ধিজীবী হত্যার অন্যতম হোতা ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা, দলটির আরেক নেতা মো. কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে। মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা বাস্তবায়নকারী গুপ্তঘাতক আলবদর বাহিনীর প্রধান ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ডও কার্যকর হয় ২০১৬ সালের ১১ মে।
বিষয়: শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।