এক হাজার ৩৩০ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস

৫০ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি এইচএসসি পরীক্ষায়

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৮:৫৫

 এইচএসসি পরীক্ষা

এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সারাদেশে ২ হাজার ৬৩৭ কেন্দ্রে মোট ৯ হাজার ১৩৯ টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে এক হাজার ৩৩০ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। এ সংখ্যা গতবার ছিল এক হাজার ৯৩৪ টি প্রতিষ্ঠান। সে হিসেবে গতবারের তুলনায় এ বছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ৬০৪ টি।

একজনও পাশ করেননি, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫০টি; যা গতবারের চেয়ে ১০ গুণ।  গত বছর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের কেউ পাশ করেনি। কিন্তু এবারের পরীক্ষায় এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০ গুণ বেড়ে হয়েছে ৫০টি।

এরমধ্যে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে সবচেয়ে বেশি ফেল করা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৩টি। রাজশাহীতে ৯টি, ঢাকায় ৮টি, যশোরে ৬টি, কুমিল্লায় ৫টি এবং ময়মনসিংহে ৩টি প্রতিষ্ঠানে সবাই ফেল করেছেন। এছাড়া ৪টি মাদরাসা ও ২টি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করেছেন।

জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮০ হাজার ৫৬১ জন ছেলে । আর ৯৫ হাজার ৭২১ জন মেয়ে পেয়েছে জিপিএ-৫। এ ছাড়া পাসের হারেও এগিয়ে আছে মেয়েরা। মোট পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এর মধ্যে মেয়েরা পাস করেছে ৮৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর ছেলেরা পাস করেছে ৮৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

শূন্য পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ থেকে বেড়ে ৫০ হওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছর মাত্র তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছিল সংক্ষিপ্তভাবে। তখন বেশির ভাগই ভালো করেছিল। সে জন্য পাসের হারও ছিল প্রায় ৯৫ শতাংশ। এবার ১২টি পত্রে পরীক্ষা হয়েছে, তাতে সবাই তত ভালো করতে পারেনি। সে জন্য শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এমন উল্লাস সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছিল না। কারণ ৫০টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবারের পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

এরআগে, পৌনে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কম্পিউটারের বোতাম চেপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফল প্রকাশ করেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে এই পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

করোনাভাইরাস মহামারি ও বন্যার কারণে পিছিয়ে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ৬ নভেম্বর। এতে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে মোট ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়।

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top