এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা

প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে কেউ গুজব রটালে কঠোর ব্যবস্থা

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ২২:৩৫

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তবে কেউ গুজব রটাতে পারে। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কেউ গুজব রটালে সে যদি ধরা পড়ে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রবিবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা হাই স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, প্রশ্নপত্র বিতরণ কেন্দ্রিক দুই একটি ভুল হয়ে যায়। সেগুলো তো অনিচ্ছাকৃত ভুল। তবে গতবার অনিচ্ছাকৃতভাবে যে কয়েকটি জায়গায় বিতরণে ভুল হয়েছে তাদের কিন্তু কড়া মাশুল দিতে হয়েছে। তাই আশা করি সব জায়গায় পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে যারা দায়িত্বে থাকেন তাদের যেন কোনোভাবে ভুল না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সচেতন থাকবেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা দিতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি। আর অভিভাবকদের বলব, সন্তানকে পরীক্ষা কেন্দ্রিক অনৈতিক কোনো কিছুতে উদ্বুদ্ধ করবেন না। শিক্ষার্থীকে মানসিকভাবে ভাল রাখুন, কোনো ধরনের চাপে রাখবেন না।

তিনি আরও বলেন, করোনার পর এবার যারা পরীক্ষা দিচ্ছে তারা সার্বিক প্রস্তুতির একটি সময় পেয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রিক সার্বিক বিষয়গুলো গতবছর আমরা আরেকটু এগিয়ে আনতে পারতাম কিন্তু সে সময়ে হঠাৎ বন্যার কারণে কিছুটা পিছিয়ে আসতে হয়েছে। গত বছরের থেকে এবার আমরা এগিয়ে এনেছি, সামনে বছর চেষ্টা করব স্বাভাবিকের যত কাছাকাছি যেতে পারি।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড্ডা হাই স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পুরো কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নেন।

এরআগে, পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকেই কেন্দ্রের বাইরে ভিড় করতে থাকেন এই কেন্দ্রের শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা। সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে শুরু করেন। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়।

এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন।

এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৪টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬টি।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৭১৬টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৮৫টি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৮৫০টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৯২৭টি। এবার মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top