ফের বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৩, ২৩:৪৩
- হাইলাইটস
- আবারও বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম
- বৃহস্পতিবার থেকেই বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম কার্যকর
- দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে
আবারও বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৯ টাকা। তেলের এ দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার থেকেই বোতলজাত সয়াবিন তেলের এ নতুন দাম কার্যকর করবে ভোজ্যতেল উৎপাদক সমিতি। ভোজ্যতেলের আমদানিতে সরকারের ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ দাম নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি।
ভোজ্যতেল উৎপাদক সমিতি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভোজ্যতেলের আমদানিতে সরকার প্রদত্ত ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ গত ৩০ এপ্রিল (রোববার) শেষ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি আলোচনা সাপেক্ষে ভোজ্য তেলের মূল্য সমন্বয় করেছে।অবিলস্বে এ মূল্য কার্যকর হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৭৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৬০ টাকা, পাম সুপার খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতো দিন বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিনের আনুষ্ঠানিক দাম ছিল ১৮৭ টাকা। এরআগে, ১৭ নভেম্বরে বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ১২ টাকা বৃদ্ধি করে সমিতি। তারও আগে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ছিল ১৭৮ টাকা।
ভোজ্যতেলের আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ের জন্য কম মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ করা হয়েছিল গত বছরের মার্চে, গত রোববার তার সময় শেষ হয়ে গেছে। ফলে এখন বেশি ভ্যাট দিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে এবং বাজারে ছাড়তে হবে, এ জন্যই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর দাবি করেছিলেন।
সমিতির বক্তব্য, গত বছরের ১৬ মার্চ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ১ মে থেকে ভোজ্যতেলের কাঁচামালের ওপর আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে পণ্য খালাস করতে হচ্ছে। এ ছাড়া উৎপাদন পর্যায়েও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহ করতে হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা বেড়ে ৩ লাখ টনের কাছাকাছি দাঁড়ায়। স্থানীয় উৎপাদন হয় দুই লাখ টন, আর বাকি ১৮ লাখ টনই আমদানি করতে হয়।
গেল বছরের ডিসেম্বরে খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা কমিয়েছিল সরকার। এছাড়া পাম তেলের দাম ৪ টাকা কমানো হয়েছিল। সেই হিসাবে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৬৭ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ছিল ৯০৬ টাকা। এছাড়া পাম তেলের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।