প্রবল শক্তিতে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৬ মে ২০২৩, ০১:৩৬
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। যা পরে ঘনীভূত হতে পারে। শুক্রবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কোনও বিশেষ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি।
এদিকে, কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইডি গবেষক এবং আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ বলছেন, ৮ থেকে ৯ মের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
লঘুচাপটি ১০ মের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে ও ১১ মে এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে ‘মোচা’ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়টি সৃষ্টি হলে বাংলাদেশ সীমান্তে আঘাত হানতে পারে ১৩ থেকে ১৬ মে এর মধ্যে।
অন্যদিকে, ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ১০ মে উত্তর-উত্তরপশ্চিমে সরে গিয়ে পরদিন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব এবং মিয়ানমারের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
এটির প্রভাব সম্পর্কে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু বলা না গেলেও আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন, শেষ পর্যন্ত প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এটি আম্পানের মতো বিধ্বংসী হতে পারে বলেও কারও কারও আশঙ্কা।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) তথ্য বলছে, আগামীকাল শনিবার (৬ মে) বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে পারে। পরদিন এর প্রভাবে সেখানে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আগামী ৮ মে এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।
আইএমডি জানায়, এটি আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল সামুদ্রিক ঝড়ের পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তখন ঘূর্ণিঝড়টি একটু উত্তর দিকে সরে গিয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। আগামী ৭ মে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি ও গতিপথ সুনির্দিষ্ট করে যাবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া এ বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে 'মোখা'। কফির জন্য খ্যাত ইয়েমেনের 'মোখা' বন্দরের নামে ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তার আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপমাত্রার পূর্বাভাসে বলা হয়, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।