ব্যবহারিক খাতায় নম্বর পেতে টাকা দিতে হলো শিক্ষার্থীদের
শাকিল খান | প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২৩, ০১:০৮
রাজধানীর মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর না দেয়ার ভয় দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা এ কাজ করেছেন। এছাড়াও এর সাথে প্রতিষ্ঠানটির একজন শিক্ষকও জড়িত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) জীববিজ্ঞানের ব্যবহারিক পরীক্ষা চলাকালীন সময় এ ঘটনা ঘটে। এছাড়াও টাকা নেওয়া হয়েছে এর আগে সম্পন্ন হওয়া ব্যবহারিক পরীক্ষায়ও।
অভিযুক্তরা হচ্ছেন- বিদ্যালয়টির কর্মচারী রাজিব, কর্মচারী সমিতির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম শেখ। এছাড়াও এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের ঘনিষ্ঠ শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের।
জানা গেছে, মতিঝিল মডেল স্কুল কেন্দ্রের ১০টি হলের অন্তত পাঁচ থেকে ছয়শত পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। এ কেন্দ্রে ১৮০০ মতো শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের দায়িত্ব চলাকালে শিক্ষকদের নাম ব্যবহার করে টাকা নিয়ে নেন কর্মচারীরা।
এ বিষয়ে মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এ ধরণের কাজ লিপ্ত হচ্ছেন কর্মচারীরা। পাশাপাশি হলের দায়িত্বে থাকা পরীক্ষকগণও এতে জড়িত আছেন। সবগুলো কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে তারা টাকা নিতে পারেনি। কিন্তু ৮-১০টি হলের পাঁচ-ছয়শ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা।
এক পরিক্ষার্থী জানান, আমি এর আগের সবগুলো পরীক্ষায় টাকা দিয়েছি। একজন শিক্ষক এসে জানান, টাকা না দিলে পরীক্ষার খাতায় নম্বর দেওয়া হবে না। তাই আমরা বাধ্য হয়েই টাকা দিয়েছি। আমি প্রতিটি পরীক্ষার সময় ৩০০ টাকা করে দিয়েছি। আমাদের সাথের প্রায় সব শিক্ষার্থীরাই এ টাকা দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে মতিঝিল মডেল স্কুলের প্রিন্সিপাল মাহাফুজুর রহমান খান বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আর আমি আমাদের বাসাবো শাখায় অভিভাবক সমাবেশ ছিল আমি সেখানে ব্যস্ত ছিলাম। তবে আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল এবছর আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা উঠাবো না। আর এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা— এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ ঘটনায় বক্তব্য জানতে বিদ্যালয়টির কর্মচারী রাজিবের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও এ ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান শিক্ষকের ঘনিষ্ঠ শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের সাথেও কোনো ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।