হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইয়াহিয়ার ইন্তেকাল

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২৩, ২১:৫০

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইয়াহিয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (২ জুন) দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী। 

মাওলানা ইয়াহিয়া লিভার ক্যান্সারে ভুগছিলেন। গত বুধবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে স্বাস্থ্যের অবস্থা অবনতি ঘটলে বৃহস্পতিবার (১ জুন) উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আবদুস সালামকে মহাপরিচালক ও ইয়াহিয়াকে সহকারী পরিচালক ঘোষণার পরপরই আবদুস সালাম অসুস্থ হয়ে পড়েন বৈঠকে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুফতি আবদুস সালামের জানাজার পরপরই সেদিন ইয়াহিয়াকে মহাপরিচালক ঘোষণা করা হয়।

কর্মজীবন-

১৯৭৩ সালে তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করে হাটহাজারীর গড়দুয়ারা মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। গড়দুয়ারা মাদরাসায় ১০ বছর শিক্ষকতার পরে তিন বছর মাদার্শা মাদরাসা ও হাজী ইউনুস সাহেব (রহ.) প্রতিষ্ঠিত ইছাপুর ফয়জিয়া তাজবিদুল কুরআন মাদরাসায় ছয় বছর শিক্ষকতা করেন। হাটহাজারী মাদরাসার মজলিশে শূরার ডাকে ১৯৯১ সালে উম্মুল মাদারিস খ্যাত হাটহাজারী মাদরাসায় যোগ দেন।

শিক্ষকতার শুরু থেকে তিনি মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে উর্দুখানা থেকে তাফসির জামাত পর্যন্ত সব বিভাগের বিভিন্ন কিতাবের পাঠদান করে আসছেন।

২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত মজলিশে শূরার বৈঠকে মসলিশে এদারির (মাদরাসা পরিচালনা বোর্ড) সদস্য নির্বাচিত হন।

খেলাফত লাভ-

হাটহাজারী মাদরাসায় অধ্যায়নকালে শুধু জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমেই তৃপ্ত হননি বরং আধ্যাত্মিক সাধনার জন্যও অস্থির ছিলেন।

লেখাপড়ার পাশাপাশি তাসবিহ তাহলিল আদায়ে সুষ্ঠু নিয়ম, উন্নত চরিত্রের অধিকারী, ইখলাস ও আমল-আখলাক দেখে শায়খুল ইসলাম হযরত হুসাইন আহমদ মাদানীর (রাহ.) খলিফা আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) চার তরিকার খেলাফত দান করে বাইয়াত ও মুরিদ করার অনুমতি প্রদান করেন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top