আজ পয়লা আষাঢ়, বৃষ্টির ছন্দের প্রত্যাশা

রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২৩, ১৯:৩১

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পা রাখল বর্ষার বৃষ্টিধূমল চৌকাঠে। আজ আষাঢ়ের পয়লা দিন। গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবনে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। বৃষ্টিতে ভেজা শৈশবের দুরন্ত স্মৃতিগুলো সব বাঙালির জীবনেই শ্রেষ্ঠ সময়।

বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। শত অনাকাঙ্খিত ঘটনার ভিড়েও কোথায় যেন মেলে এক চিলতে বিশুদ্ধ সুখ।

বৃষ্টি মানেই রাশি রাশি সুখস্মৃতির খুলে যাওয়া জানালা! হঠাৎ বৃষ্টিতে বইখাতা প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়িয়ে, মানকচুর পাতায় মাথা ঢেকে কাদার সড়ক পেরিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরা। ব্যাঙের ডাকে মুখরিত হয়ে ওঠে গ্রাম।

টিনের চালে শুরু হয় বৃষ্টির রিনিঝিনি সংগীত। থাকে মেঘমেদুর দিনে খিচুড়ির ঘ্রাণ। মেঘের গর্জন রাখালবালককে ব্যস্ত করে তোলে। কদম ফুলের মতো তুলতুলে নরম, রঙিন স্বপ্ন দুই চোখের কোণে ভেসে ওঠে। ঠিক যেমন করে আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়।

তবে পার্থক্য একটাই—আজ ততটা ভেজা মাটির সড়ক দেখা যায় না। ভরা পুকুরের জলে ডুব দিয়ে বৃষ্টির গান, কিংবা টিনের ঘরে বসে বৃষ্টির একটানা খেয়াল-ঠুমরি শোনা, শেষ বিকেলে বৃষ্টিধোয়া আকাশে হংস-মিথুনের উড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা—এসব আগের মতো নেই। তারপরও বর্ষা এমন সব আনন্দ-স্মৃতিরই এক সজল পাঠাগার।

একটা কথা প্রচলিত ছিল, ‘শনির সাত, মঙ্গলের তিন, আর সব দিন দিন।’ অর্থাৎ শনিবার বৃষ্টি শুরু হলে তার মেয়াদ হবে সাত দিন। টাপুরটুপুর রাতদিন পড়তেই থাকবে। মঙ্গলবার বৃষ্টি শুরু হলে চলবে তিন দিন।

আর বাকি দিনগুলোয় বৃষ্টি দিনে এসে দিনে বিদায় নেবে। কিন্তু সেই বৃষ্টি এখন আর নেই। আবহাওয়াবিদদের মতে, এসবই বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাবের ফল।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top