মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে যা বললেন নুর
মেন্দি সাফাদির সঙ্গে নুরের বৈঠক নিয়ে যা জানা গেল
রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২৩, ০১:৩০
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেছেন, মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর।’ তিনি দাবি করেন, গণমাধ্যমে বিষয়টি স্বীকার না করলেও দলের অভ্যন্তরীণ একাধিক বৈঠকে বিষয়টি স্বীকার করেছেন নুর। তবে কী বিষয়ে বৈঠক করেছেন তা দলকে জানাননি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। ফারুক বলেন, গত ১৮ জুন গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের কিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড. রেজা কিবরিয়ার বাসার ছাদে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা হয়।
সেখানে তিনি নূরের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ তোলেন। এরমধ্যে একটি অভিযোগ ইসরায়েলের নাগরিক মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে নুরের বৈঠক সংক্রান্ত। ওই বৈঠকের সত্যতা সংক্রান্ত কিছু তথ্য সে সময় তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সন্দেহভাজন লোকের সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগ আনা হয় নুরের বিরুদ্ধে।
ফারুক হাসান বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নুর কাতারে ইসরাইলি নাগরিক মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে অস্বীকার করেন। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় জানাতেও অস্বীকৃতি জানান। পরে নুর দলের কয়েকজনকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন। ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। তখন রেজা কিবরিয়া সভাস্থল ত্যাগ করেন এবং সভা মুলতবি হয়।
এদিকে, ইসরায়েলি কোনো নাগরিক ও মোসাদ এজেন্টের সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি বলে ফের দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর। একইদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, আমার সঙ্গে মেন্দি এন সাফাদির বৈঠকের অভিযোগ যারা তুলছে, তারা পারলে একটি ভিডিও দেখাও৷ আমি স্পষ্ট বলেছি, মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আমার কোনো বৈঠক হয়নি।
মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সরকারের নেতাকর্মীরা বৈঠক করেছেন। আমি দেশের বাইরে গেছি। আমার সঙ্গে অসংখ্য মানুষ ছবি তুলেছে। কে কোথা থেকে কোন ছবি তুলেছে, তা আমি জানি না। এখন তারা ছবি নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন, সেটা এডিটেড ছবি বলে আমার মনে হয়েছে।
ফারুকের বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নুরুল হক নুর বলেন, এরা (ফারুক ও তার সঙ্গে থাকা দলীয় নেতাকর্মীরা) দলছুট, এরা প্রতারক, এরা সুবিধাবাদী, এরা গোয়েন্দা সংস্থার সৃষ্টি। সোশ্যালমিডিয়া, ইউটিউব বা পত্র-পত্রিকায় নাম আসার জন্য অনেকেই বেফাঁস কথা বলছেন। তারা জানে ভিপি নুরকে নিয়ে কাউন্টার কোনো বক্তব্য দিলেই পত্র-পত্রিকা তা লুফে নেবে।
সাবেক এই ভিপি দাবি করেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা নানা রকমের খেলা খেলছে, বিভিন্ন দল ভাঙছে। বিভিন্ন দলের দলছুট নেতাদের কোরবানির পশুর মতো কিনছে নির্বাচনে নেওয়ার জন্য কিংবা সরকারের পক্ষে কাজ করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১০ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এখানে যারা অংশ নেবেন, তারাই দলের আগামী দিনের নেতা হিসেবে বিবেচিত হবেন। যারা অংশ নেবেন না, তারা ঝরে পড়বেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।