হ্যাক হয়নি, ওয়েবসাইটের দুর্বলতায় তথ্য ফাঁস হয়েছে: পলক

রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২৩, ২৩:৫৪

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি বলে জানিয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ওয়েবসাইটের দুর্বলতার জন্য নাগরিকদের তথ্য উন্মুক্ত ছিল। এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।

রোববার (৯ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ২৯টি ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন আইডেন্টিফাই করি। এই প্রতিষ্ঠান ২৭ নম্বর তালিকায় ছিল। পাঁচ বছর ধরে ইনসিকিউরিটি গাইডলাইন মেইনটেইন করেছি। আমরা যেখানে এক্সেস পাই সেখানে নিজেরা কাজ করি সিকিউরিটির জন্য। যেখানে পাই না বার বার তাগাদা দেই।

তিনি বলেন, এই ঘটনা কোনো সাইবার সিকিউরিটি হুমকি না, টেকনিক্যাল দুর্বলতা ছিল। কিছু মানুষের দায়িত্ব অবহেলায় দেশের সুনাম নষ্ট হয়েছে। রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে। কোন ডাটা ওপেন কোনটা না সেটা বুঝতে হবে। তাদের জেনারেল গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। তাদের নিয়মিত আইটি এক্সটারনাল অডিট করা দরকার। এগুলো সব বলে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমাধানের জন্য সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গাইডলাইন মানার কথা বলা হয়েছে। ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা নিতে হবে। ডাটা সুরক্ষা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যক্তি সবাইকে বুঝতে হবে। তথ্য যত সমৃদ্ধ হচ্ছে, ইকোনোমিক জায়গায় যত অগ্রসর হচে দেশ ততই হ্যাকাররা নজর রাখছে, যদিও এই ঘটনাটা হ্যাক না।

এর আগে, বিশ্বখ্যাত ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের নাম, ফোন নম্বর, ইমেল আইডি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে। তবে সরকারের কোন ওয়েবসাইট থেকে তথ্যগুলো ফাঁস হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি টেকক্রাঞ্চ।

বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির জন্য কাজ করা গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস বলেছেন, তিনি ঘটনাক্রমে ২৭ জুন ফাঁসটি আবিষ্কার করেন এবং এর কিছুক্ষণ পরেই বাংলাদেশি ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (সিইআরটি) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফাঁসের মধ্যে লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো বৈধ কিনা তা টেকক্রাঞ্চ একটি পাবলিক সার্চ টুলের মাধ্যমে যাচাই করছে। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রতিটি নাগরিককে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হয় বাংলাদেশে, যা প্রত্যেক নাগরিককে একটি অনন্য পরিচয়পত্র প্রদান করে। কার্ডটি বাধ্যতামূলক এবং নাগরিকদের বিভিন্ন পরিষেবাতে অ্যাক্সেস দেয়, যেমন একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জমি কেনা-বেচা এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা।

বাংলাদেশের সিইআরটি, সরকারের প্রেস অফিস, ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির দূতাবাস এবং নিউইয়র্ক সিটিতে তাদের কনস্যুলেটে এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top