হিরো আলমকে মারধরের ঘটনায় দলের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২৩, ১৯:৫৫

ছবি: সংগৃহীত

হিরো আলমকে মারধরের ঘটনায় দলের কেউ জড়িত থাকলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার (১৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ১৪ দলের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এ ঘটনা দুঃখজনক। এমনকি এই হামলার সঙ্গে যদি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেসব বিদেশী শক্তি চাপ সৃষ্টি করবে, তা মেনে নেয়া হবে না। দেশের রাজনীতিতে বিদেশীদের কারো মাতব্বরি কাম্য নয়। আমাদের দেশের রাজনীতির সমস্যা নিজেরাই সমাধান করব।

তিনি বলেন, হয়তো ঢাকা শহর সবাই দেখেন, গ্রামের দিকে যাননি। গ্রামে কিন্তু কোনো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নাই। আজকেও আমি খবর নিলাম বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা এসেছিলেন, জিজ্ঞেস করলাম কী অবস্থা, বলে এখানে দাম বেশি, আমাদের ওখানে সব ঠিক আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জীবন পরিবর্তন হয়েছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি সেটাও কার্যকর করতে হবে। সেখানে কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের আসবে। সে প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, আজকে মানুষ অন্তত খেয়ে-পরে ভালো আছে। এখন বর্ষাকালেও শীতকালের সবজি দেখেন, সবই পাওয়া যায়। আবার সেটা দাম বেশি হলে সবাই চিৎকার-চেঁচামেচিও করে। কিন্তু আগে তো এগুলো পাওয়াই যেত না। এখন সবই পাওয়া যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ভিজিডি, ভিজিএফ মাসে মাসে দেই, সেটাও দরকার হলে তিন মাসের দিয়ে সেখানে আমরা জায়গা করব এবং সেখানে নতুন করে আবার খাদ্য মজুত করবো। যেন ভবিষ্যতে কোনো দুর্যোগে সমস্যা না হয়।

গ্রামে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, হয়তো ঢাকা শহর সবাই দেখেন, গ্রামের দিকে যাননি। গ্রামে কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নেই। আজকেও আমি খবর নিলাম। বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা এসেছিলেন, জিজ্ঞেস করলাম কী অবস্থা, বলে এখানে দাম বেশি, আমারে ওখানে সব ঠিক আছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ২০০৮ এ আমরা ঘোষণা দিয়েছি ডিজিটাল বাংলাদেশ, এখন আমরা ঘোষণা দিয়েছি স্মার্ট বাংলাদেশ করব।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে একটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। পদ্মা সেতু, এই একটা সিদ্ধান্ত, এখন সবাই বাংলাদেশকে সমীহ করে। পদ্মা সেতুতে দক্ষিণের মানুষের ভাগ্যের দুয়ার খুলে গেছে।

হিরো আলমকে নিয়ে কি কথা হয়েছে জানতে চাইলে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, হিরো আলমকে মারধর করার বিষয় নিয়ে চৌদ্দ দলীয় বৈঠকে কথা হয়েছে। সবাই বলেছে, নির্বাচন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে তো নয়ই, তাকে কেনো মারধর করতে হবে। এর সঙ্গে কারা জড়িত খুঁজে বের করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন নিজের দলের কেউ থাকলেও আইনের আওতায় আনবেন।

বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ বলেন, হিরো আলমকে কারা হিরো বানাচ্ছে, এটা দেখতে হবে। কারা আক্রমণ করেছে সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, এটা কোনো ভাবেই ঠিক হয়নি, যারা মারধর করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের দলের কেউ জড়িত থাকলেও শাস্তির আওতায় আনা হবে।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সূচনা বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৪ দলের নেতাদের বক্তব্য শোনেন।

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top