পিরোজপুরে বড় ছেলের পাশে সাঈদীকে দাফন

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৬ আগষ্ট ২০২৩, ০২:৪২

ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে পিরোজপুর পৌরসভার মাছিমপুরে আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে, তার জানাজার নামাজ দুপুর সোয়া ১টার দিকে সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা করা যায়নি।

জানাজার নামাজে ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। জানাজায় আশপাশের জেলাগুলো থেকেও তার বিপুল সংখ্যাক ভক্ত ও অনুসারী অংশ নেন।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একবার জানাজার নামাজ শুরু হয়েও বন্ধ হয়ে যায়। উপস্থিত মুসুল্লিদের আবেদনে এটি বন্ধ করা হয়। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী দেশের বাইরে থাকায় তারা এ আবেদন করেন। পরে ১২টা ১০ মিনিটে তিনি পিরোজপুর পৌঁছান।

এরও আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৮ মিনিটে সাঈদীর লাশবাহী গাড়ি পুলিশ পাহারায় পিরোজপুর পৌঁছায়। পিরোজপুরে তার লাশ পৌঁছার পরপরই দ্রুত জানাজা শেষে দাফন করার নির্দেশ দেয় পুলিশ।

একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের তখনকার নায়েবে আমির সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে ২০১৪ সালে আপিল বিভাগ সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।

কাশিমপুর কারাগারে বন্দি সাঈদী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। সোমবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

সাঈদীর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ‘হার্ট অ্যাটাকে’ তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. রেজাউর রহমান জানিয়েছেন।

একাত্তরে ‘দেইল্লা রাজাকার’ হিসেবে পরিচিত সাঈদী পরে ইসলাম ধর্মীয় বক্তা হিসেবে পরিচিতি কুড়ান। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জামায়াতের মনোনয়নে পিরোজপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top