জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ, উত্তরণের উপায় কী?
শাকিল খান | প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৬
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স নেথান ফ্লুক বলেছেন, জলবায়ুর জন্য কৃষি উদ্ভাবন মিশন এবং গ্লোবাল মিথেন প্রতিশ্রুতির সদস্য হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে কৃষকদের খাপ খাইয়ে নিতে সমর্থন জোগাতে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের একটি যৌথ মিশন রয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে কৃষি মন্ত্রণালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) আয়োজিত ‘জলবায়ু স্মার্ট কৃষি এবং উদ্ভাবনী জৈবপ্রযুক্তির যোগসূত্র’ বিষয়ক সংলাপে তারা এ আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, খরা এবং নতুন কীটপতঙ্গের আক্রমণ কৃষকদের জন্য লাভজনকভাবে খাদ্য উৎপাদন কঠিন করে তুলেছে। সংলাপে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া ও তা প্রশমিত করার জন্য উদ্ভাবনী জৈবপ্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স ফ্লুক কৃষিতে সহনশীলতা তৈরি ও বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা বাড়ানোর নিরাপদ হাতিয়ার হিসেবে কৃষিতে জৈবপ্রযুক্তি গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসন জৈবপ্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে সুরক্ষা এবং সমর্থনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বিভিন্ন সরঞ্জাম কৃষকদের কাছে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে, যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা বৈজ্ঞানিক ঝুঁকিভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করে।
কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, বন্যা, খরা, ঘুর্ণিঝড় ও অতিবৃষ্টিসহ জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের কৃষিখাত হুমকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক কর্মসংস্থানই কৃষিতে। ফলে কৃষিতে জৈবপ্রযুক্তির ব্যাবহার বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের কৃষিকে এখনো টেকসই বলা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গবেষক আছেন। কিন্তু বড় অংশই ব্যক্তিগত প্রোফাইলের জন্য কাজ করেন। এর বাইরে খুব কম সংখ্যক বিজ্ঞানী দেশের জন্য কাজ করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কিভাবে কৃষিকে এগিয়ে নেয়া যায় তার জন্য সবাইকে দেশের কথা চিন্তা করে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।