বাইডেনের নৈশভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা
জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কী প্রাধান্য পাবে?
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:৫২
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২২ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তৃতা দেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের (ইউএনজিএ৭৮) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রিবিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড রিইগনিটিং গ্লোবাল সলিডারিটি: অ্যাক্সিলারেটিং অ্যাকশন অন দ্য ২০৩০ এজেন্ডা অ্যান্ড ইটস সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস টুওয়ার্ডস পিস, প্রসপারিটি, প্রোগ্রেস অ্যান্ড দ্য সাসটেইনেবিলিটি ফর অল’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বনেতারা নিউইয়র্কে সমবেত হবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কের প্রথম দিন ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। অন্য বছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর সাধারণ বিতর্কে বাংলাদেশের পক্ষে ভাষণ দেবেন।
তিনি তার ভাষণে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য খাতের সাফল্যের ওপর আলোকপাত করবেন। পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক সংকট, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন বিষয় তাঁর বক্তব্যে উঠে আসবে। এছাড়া প্রতি বছরের মতো এ বছরও সাধারণ বিতর্ক পর্বে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক/বিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেগুলোতে প্রধানমন্ত্রী অংশ নিতে পারেন।
নারীর ক্ষমতায়ন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে রোল মডেল হিসেবে সমাদৃত হয়েছে। এবারের আয়োজনেও প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে একাধিক সভায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের অর্জন এবং প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন বলে জানান এ কে আব্দুল মোমেন।
এবারের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের মূল বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। বিশেষ করে যুদ্ধ-বিগ্রহ পরিহার করে চলমান খাদ্য ও জ্বালানি সংকট নিরসন, আর্থিক অনিশ্চয়তা মোকাবেলা করার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা, বিশ্ব শান্তি, বহুপক্ষীয়তাবাদ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর বৈশ্বিক উদ্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন প্রভৃতি বিষয়ে এবারের আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা এবং এর স্থায়ী ও টেকসই সমাধানের বিষয়টিও ব্যাপকভাবে আলোচিত হবে, যা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে সহায়ক হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, সার্বিক বিবেচনায় জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপক্ষীয় ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান যেমন সুদৃঢ় করবে এবং বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোয় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করবে বলে আশা করা যায়।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।