ঢাকায় ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প, সতর্ক হবার এখনই সময়...

শাকিল খান | প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৩৬

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা চার দশমিক দুই বলে জানা গেছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। এ কম্পনের ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান সিসমোলজকি সেন্টার জানিয়েছে, কম্পনটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে। এর আগে গত ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৫১ মিনিটে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।  

এর আগে ২৯ আগস্ট সিলেটে একটি ৩ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার মাঝামাঝি স্থানে। এছাড়া ১৪ আগস্ট ঢাকাসহ এর আশেপাশের এলাকায় ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ওই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসাম অঙ্গরাজ্যের করিমগঞ্জ থেকে ১৮ দশমিক ২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।

বাংলাদেশে ভবন তৈরির ক্ষেত্রে জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুসরণ না করা, ভবনের নকশা অনুমোদন ও বাস্তবায়ন বা অঞ্চল পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ না নেয়ার মত নানা অনিয়মের চিত্র উঠে আসে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ২০২০ সালের এক গবেষণায়।

বাংলাদেশের ভূতত্ত্ববিদ ও নগর পরিকল্পনাবিদরা মনে করছেন, বাংলাদেশে বড় ধরণের ভূমিকম্প হলে এখানকার ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি তুরস্কের মত বা তার চেয়ে বেশি মাত্রায় হতে পারে। আর এই ক্ষয়ক্ষতির পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হবে অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা ভবন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারীর মতে, বাংলাদেশের বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ শহরের ঝূঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোকে ভূমিকম্প প্রতিরোধী করা ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর উদ্যোগের প্রথম ধাপ।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top