জামিন নামঞ্জুর, মির্জা ফখরুল কারাগারে

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১৯

ছবি: সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বিএনপি কর্মীদের ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ মামলায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, সামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডুনার, সদস্য সচিব আমিনুল হক।

রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করা হয়। তাকে আটক করার পর রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম সাংবাদিকদের জানান, সকালে ডিবি পুলিশের লোকজন বাসায় যান। মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বাসার সবার সঙ্গে কথা বলেন তারা। এরপর সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও হার্ডডিস্ক বাসা থেকে নিয়ে চলে যান।

এর ঠিক ১০ মিনিট পর আবার ফিরে এসে ফখরুলকে নিয়ে যান। রাহাত আরা বেগম বলেন, মির্জা ফখরুল প্রচণ্ড অসুস্থ, তার চিকিৎসা চলছিল। তার বয়স ৭৫ বছর। অবিলম্বে মির্জা ফখরুলের মুক্তি চেয়েছেন তার বড় মেয়ে ড. শামারুহ মির্জা।

তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের ছোড়া টিয়ার গ্যাসের কারণে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশের টিয়ার গ্যাস তার ফুসফুসে গেছে। এজন্য তিনি রাতেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।

শামারুহ মির্জা বলেন, আজ বাংলাদেশে যখন বিরোধী মতামত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই, লাখ লাখ বিরোধী মতাদর্শী কারাগারে বন্দি, লাখ লাখ সন্তান তাদের বাবার জন্য অপেক্ষা করছে; সেখানে এ ঘটনা আমাকে অবাক করেনি। আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস-এই জুলুম একদিন শেষ হবে।

এর আগে, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করছিল বিএনপি। সমাবেশ শুরু হওয়ার এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দলটির নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালায়। তারা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top