গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে: সিইসি
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:১৫
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমাদের নির্বাচনে কিন্তু বাইরে থেকেও থাবা এসে পড়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, কিছু বিদেশি রাষ্ট্র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ওপর তাদের থাবা বাড়াচ্ছে। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদের অনেককিছুই রক্ষা করতে হলে এই নির্বাচনটাকে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সিইসি।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে চাই ভোটাররা আসছেন বা আসতে পারছেন। পথে বা বাড়িতে কেউ তাদের বাধা দিচ্ছে না। যদি বাধা দেওয়া হয় তাহলে নির্বাচন প্রভাবিত হয়ে যায়। নির্বাচন অবাধ হলো না। আমরা দেখতে চাই তারা সকল কেন্দ্রে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নির্বাচন ঘিরে রাজনীতি দ্বিধাবিভক্ত। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জনগণকে গ্রহণ করতে হবে। যদি মানুষ বলে ভোট ভালো হয়েছে তবে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে। আমরা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। অর্থনীতিসহ অনেক কিছু ঠিক রাখতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন লাগবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কমিশন কখনই এককভাবে নির্বাচন করতে পারে না। প্রশাসনের ওপর নির্ভর করতে হয়। সবার সৎ ও সাহসী মনোভাব দরকার। আমরা আশা করব, আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন।
সিইসি বলেন, আচরণবিধি কেউ লঙ্ঘন করছে কিনা দেখবেন। আপনারা সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ করবেন। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা রক্ষায় আপনারা যতদূর পারেন সাহায্য করবেন। কেননা নির্বাচন নিয়ে দেশ একটা সংকটের, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে আছে।
গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। এরপর থেকে রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনে শুরু হয়েছে নির্বাচনের তোড়জোড়।
তফসিল অনুযায়ী সিইসি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর আর প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। প্রচারণা শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।