নির্বাচনের মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:২৮
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীও থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন কোন চাপে নেই, বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সবাই নির্বাচন কমিশনের চাপে আছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর বিদেশিদের চাপ একেবারেই নেই। আমাদের প্রস্তুতি ও নির্বাচনের পরিবেশ দেখে এখন পর্যন্ত বিদেশিরা সন্তুষ্ট। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো পরামর্শ দেওয়া হয়নি, চাপ তো নয়ই। বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনই সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো কাজ করতে গেলেই চ্যালেঞ্জ থাকে। ছোটখাটো চ্যালেঞ্জ তো আছেই। তবে কর্মকর্তারা এমন কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেননি যেটা আমাদের কাছে বড় ইস্যু হিসেবে দেখা দিয়েছে।
প্রশাসনে রদবদলের বিষয়ে ইসি বলেন, অতীতের নির্বাচনেও কখনো কখনো জেলা প্রশাসন পর্যায়ে, কখনো উপজেলা পর্যায়েও পরিবর্তন হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসার শর্ত হিসেবে যে দাবিগুলো তুলেছিল, এর একটা ছিল প্রশাসনের রদবদল। তার একটা অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে।
এর আগে এদিন জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মোহাম্মদ আলমগীর।
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ইতোমধ্যে নির্বাচনের অনেক কাজ গুছিয়ে নিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনের ভোটে এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ২৯টি রাজনৈতিক দল। ছোট দলগুলোর ভোটের মাঠের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও আওয়ামী লীগের “স্বতন্ত্র” প্রার্থীরা বইয়ে দিচ্ছেন নির্বাচনী হাওয়া।
এবার ইসিতে নির্বাচনের মাঠে সরব থাকতে ২,৭১২টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মনোনয়ন যাচাই করে ইসি। এতে ১,৯৮৫টি মনোনয়ন বৈধ ও ৭৩১ জনের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। বৈধতা হারানো মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মঙ্গলবার থেকে আপিল করতে পারবেন। ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আর ১৮ ডিসেম্বর দেওয়া হবে নির্বাচনী প্রতীক।
দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় ১২টি দল। বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের মধ্যে এই নির্বাচনে ৭২.১৪% ভোট পেয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পক্ষে ৭% ভোটার রায় দেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় ৩৯টি দল। এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট পড়ে ৭৬.৮০%, ধানের শীষে ১৩.৫১% আর লাঙ্গলে ৫.৩৭% ভোট পড়ে। পরে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর সংসদে প্রধান বিরোধী দল হয় জাতীয় পার্টি।
বিষয়: সেনাবাহিনী নির্বাচন
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।