বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে দাঁড়াতে না দিতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল : নুর
শাকিল খান | প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:২৩
রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকাল ৯ টায় শ্রদ্ধা জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুলহক নুর বলেন, আমরা যখন একেবারে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ঠিক সে সময়ে বেছে বেছে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তানিরা তো তখন এক প্রকার কোণঠাসা, তারা আত্নসমর্পণ করবে। ঠিক সে সময়টাতে কারা জাতিকে মেধাশূণ্যে করার এই নীলনকশা করলো। এগুলো নিয়ে বিস্তর গবেষণা হওয়া দরকার।
স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমরা মুক্তিযুদ্ধের একটা নির্মোহ ইতিহাস তুলে ধরতে পারিনি। শহীদের সঠিক তালিকা করতে পারিনি, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে পারনি। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে ইতিহাসও বদলেছে। এটা দুঃখজনক সিদ্ধান্তে যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ সংগ্রামে লক্ষ লক্ষ মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছে, জীবন দিয়েছে ৫৩ বছরেও মানুষের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি।
পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ, নিপীড়ন, বৈষম্য থেকে মুক্তি, বাক-ব্যক্তি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, নাগরিক মর্যাদা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বির্নিমানের যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো আজও আমাদের সেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় লড়াই করতে হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির দাবিদার আওয়ামীলীগ ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনী যেভাবে রাতের অন্ধকারে বাসা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের, বুদ্ধিজীবিদের তুলে নিয়ে অত্যাচার-নির্যাতন, হত্যা করেছিলো। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও একইভাবে ভিন্নমতের রাজনীতি করার কারণে মানুষকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করছে, ক্রসফায়ারে হত্যা করছে, মিথ্যা মামলায় জেলে ভরছে। এগুলো স্পষ্টতই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী। এই বাংলাদেশ দেখার জন্য দেশের কৃষক-শ্রমিকআপামর জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে আওয়ামীলীগ সবচেয়ে বেশি মুক্তিযুদ্ধের পরিপন্থী কাজ করছে। রাজনীতি সঠিক পথে না থাকায় দেশ মুক্তিযুদ্ধের উল্টো পথে চলেছে। তাই শিক্ষিত, দেশপ্রেমিক তরুণদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মান করতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ তারুণ্যের প্ল্যাটফর্ম সে লক্ষে কাজ করছে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে নুর বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে সরকার একটা নির্বাচন নির্বাচন খেলার আয়োজন করেছে যেখানে পক্ষ দল, বিপক্ষ দল, খেলোয়াড়, অ্যাম্পায়ার সবই তারা। এটাকে নির্বাচন বলে না। এটাকে সার্কাস বলে। জনগণ এই সার্কাসের নির্বাচনে অংশ নিবে না। ১৪ সালে ভোট কেন্দ্রে যেমন কুকুর-বিড়াল, গরু-ছাগল দেখা গিয়েছিলো এবার সেই অবস্থা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল জ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, সহ সভাপতি জাফর মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ রবিউল ইসলাম, জিলু খান, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, পেশাজীবী বিষয়ক সম্পাদক রেজওয়ানসহ দলের নেতাকর্মীরা।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।