ছবি তোলেন, অভিযোগ পেলেই অ্যাকশন
যেখানে অনিয়ম সেখানেই অ্যাকশন: ইসি রাশেদা
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারী ২০২৪, ১৯:৪১
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেখানে অনিয়ম চোখে পড়বে, সেখানেই অ্যাকশনে যাবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেছেন, বিগত দিন থেকে আমাদের একটা অ্যাসেসমেন্ট রয়েছে, হয়ে যাওয়া ইলেকশনটা যেন কোনোভাবেই পোস্টপন্ড না হয়। বুধবার (৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, আমরা একটা ফেয়ার ইলেকশন চাই যেন সর্বমহলে স্বীকৃত হয়।
৭ জানুয়ারির ভোট কেন আন্তর্জাতিক অগ্নিপরীক্ষা? এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, আন্তর্জাতিক অগ্নিপরীক্ষা ঠিক ঐ সেন্সে না। আসলে ইলেকশনটা যদি গ্রহণযোগ্য মাত্রায় না যায় এটা বিগত থেকে বলি যে, এক সময় ৯১ বা ৯৬ আমার ঠিক সালটা মনে নাই। ওই সময় নানা রকম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটা ভোট হয়েছিল।
আপনারা ভালো বলতে পারবেন সেই ইলেকশনটা (১৯৯৬) দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি। সেটা মাগুরা না ন্যাশনাল ইলেকশনই। তারপরে সেই ইলেককশনটি কিন্তু দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি। ইলেকশনটা গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে কিন্তু অল্পদিনে আবারও একটা ইলেকশন হয়ে গেছে। আমাদের মাথায় এই রকম যে আমরা এইরকম কোনো ইলেকশন করতে চাই না যেটা নতুন করে দেশকে একটা সংকটের মধ্যে ফেলে।
আমরা চাই একটা ইলেকশন হবে সরকার যে ফর্ম (গঠন) করবে সেই সরকার স্থায়ী রুপ নেবে। যখনই সরকার অস্থায়ী অবস্থায় চলে যায় দেশ তখন বিপর্যয়ের মধ্যে চলে যায়। এই সেন্সে থেকে হয়তো আমাদের মাথায় এসেছে আমরা একটা ফেয়ার ইলেকশন করবো। আন্তর্জাতিক চাপ আমাদের অন্য কিছু না বা অন্য বিষয়ই না। কোনো দিক থেকে কোনো চাপ না।
যেখানেই সহিংসতা হবে সেখানেই নির্বাচন কমিশন অ্যাকশনে যাবে বলে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের যতগুলো আয়োজন সব আয়োজনের মূল্য উদ্দেশ্য শান্তি শৃঙ্খলার সঙ্গে ভোট পরিচালনা করা।
পরিবেশ সুন্দর করার জন্য ও সবাই যাতে অবাধ ও সুষ্ঠভাবে ভোট দিতে পারে সে জন্যই সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। যতটুকু দেখার সুযোগ হয়েছে আমরা বাইরের পরিবেশ দেখেছি তাতে মনে হয়েছে ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যতগুলো সংলাপ করেছি সবাই কিন্তু বলেছে সেনাবাহিনী নামান। ভোট বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের যেগুলো বাহিনী আছে তারা সবাই সক্ষম, সব কিছু উন্নতি হয়েছে।
সব দল ভোটে আসার পরে ভোট করা সহজ না কঠিন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমি বলতে পারবো না। কারণ সব দল ভোটে আসার আগেও ভোট করি নাই, পরেও করি নাই। এটা আমার ফার্স্ট টাইম অভিজ্ঞতা। এটা সঠিকভাবে বলতে পারবো না আসলে কি আর না আসলে কি।
আগে অভিজ্ঞতা অর্জন করি তারপর বলতে পারবো। সবাই আসলে কি হতো না আসলে কি হবে এটা বলা কঠিন। আমরাতো উনাদের (ভোট বর্জনকারীরা) পাচ্ছি না, পাইলে বলা যেত। তবে আমরা এটা বলতে পারি ভোট উৎসবমুখর হচ্ছে।
সুষ্ঠু ভোট কাকে দেখাতে চান জনগণ না আন্তর্জাতিক মহল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সবাইকে সুষ্ঠু ভোট দেখাতে চাই। আমাদের দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বকে দেখাতে চাই। আন্তর্জাতিক বিশ্বের কথাটা আমাদের মাথায় রাখতেই হবে কারণ আমরা গোটা বিশ্বের একটা অংশ। আমরা মনে করি আমাদের একটা নৈতিক দায়িত্ব একটা ভালো ভোট করা।
সরকার সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা করে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার কি পথে হাঁটছে বলতে পারবো না। কারণ সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো লিয়াজো নাই। কোনো দিন সরকারের কারও সঙ্গে উঠা-বসা নেই। তবে পেপার পত্রিকায় যা খবর পাচ্ছি সরকারও চায় একটা ফেয়ার ইলেকশন হোক।
তফসিল অনুযায়ী, এ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হয় ১৮ ডিসেম্বর। সে দিন থেকেই প্রচারণায় নামেন প্রার্থীরা। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এ প্রচারণা চালানো যাবে। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।যাচাই-বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তি শেষে ইসি জানায়, ২৭ রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিষয়: অনিয়ম অ্যাকশন ইসি রাশেদা অভিযোগ
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।