নির্বাচন হয়েছে সরকার বনাম সরকার: তৈমুর
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:৫৫
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমরা সাজানো নির্বাচনে আর যাবো না। আমাদের সব প্রার্থী ঢাকা আসবে। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবো। বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তৈমূর বলেন, 'আপনারা দেখবেন আমি ঘটনাগুলো জানিয়েছি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আমার সমন্বয়ককে কাগজসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার মাধ্যমেই শুরু হয় এবং আমার লোকজন প্রতিদিনই গ্রেপ্তার হতে থাকে। আপনারা দেখবেন হেফাজতের মামলা দেওয়া হয়েছে সবাইকে। তাদের মধ্যে হিন্দু লোকও আছে। এখন দেখা যায় মুসলমান তো করেই হিন্দুরাও হেফাজত করে।'
তিনি বলেন, 'আজ সকাল থেকে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বন্দরের সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমার চিফ এজেন্টের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ অবস্থায় একটা মানুষ স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে কীভাবে ঠিক থাকতে পারে। তার পরও জনগণ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই।'
তিনি বলেন, 'জাহাঙ্গীর কবির নানককে যখন জিজ্ঞেস করা হয় তখন তিনি বলেছিলেন ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ড তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ১৩ নং ওয়ার্ডে আমি থাকি, আমার ভাই তিন বারের কাউন্সিলর। আর ১২নং ওয়ার্ড সরকারি এমপির ওয়ার্ড। আমি বললাম সরকারই যদি তার এমপির কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ মনে করে তাহলে আমার কিছু করার নেই। আমার কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই।'
তৈমূর বলেন, বেশ কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ ও স্লো ছিল। অনেক লোক ভোট দিতে পারেনি। ইভিএমের কারচুপির জন্য আমাদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই যারা নির্বাচনে আমার পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন। আমার লোকজন বাড়িতে থাকতে পারেনি। এটিএম কামালের মতো লোককে ঘেরাও করা হয়েছে গ্রেপ্তার করার জন্য।
'তার বিষয়ে আগেও মন্তব্য করিনি এখনও করব না। এটা খেলা হয়েছে সরকার বনাম জনগণ, সরকার বনাম তৈমুর আলম খন্দকার। আমি সিটি করপোরেশনের জন্য কী করেছি তা তাকে জিজ্ঞেস করেন। নারায়ণগঞ্জবাসী এগুলো জানে,' বলেন তৈমূর।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার। এই আসনে এক লাখ ৫৬ হাজাার ৪৮৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। আর তৈমূর ভোট পান মাত্র তিন হাজার ১৯০। যা পড়া মোট ভোটের দেড় শতাংশ। মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ অন্তত সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয় তৈমূরের
বিষয়: নির্বাচন তৈমূর আলম খন্দকার
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।