নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা, তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে: ডিএমপি কমিশনার

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:৩৭

ছবি: সংগৃহীত

আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) আগুনে পুড়ে যাওয়া মোল্লবাড়ি বস্তি পরিদর্শন শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি আগুন নাশকতা না দুর্ঘটনা সেটি তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা এখানে যতটুকু দেখেছি, অগ্নিকাণ্ডের সুস্পষ্ট কারণ নির্ধারণ করা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস তদন্তসাপেক্ষে তাদের রিপোর্ট দেবে। তদন্ত করে বলা যাবে এটা দুর্ঘটনা না কি নাশকতা।

তিনি বলেন, বস্তিটির মালিকানা পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির মালিকের। তিনি এখানে কিছু বস্তির মতো ঘর করে ভাড়া দিতেন। এখান থেকে বের হওয়ার মতো তেমন কোনো রাস্তা নেই। বের হয়েই দেখা যায় রেললাইন। এখানে কোনো সড়কের সঙ্গেও সংযোগ নেই। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমস্যা।

পুলিশ কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে তেজগাঁও এলাকাধীন রেললাইন বস্তিতে আগুন লাগে। মোল্লাবাড়ি বস্তি নামে পরিচিত এফডিসির পেছনের এ বস্তিতে প্রায় ৩০০ পরিবার বাস করে। এদের বেশিরভাগ মানুষই কারওয়ান বাজারে মাছ কাটেন, দিনমজুরের কাজ করেন। গভীর রাতে যখন এখানে অগ্নিকাণ্ড হয় আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে ভোর পৌনে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন। এরা হলেন- এক নারী ও দুই বছরের এক ছেলে শিশু। এ ছাড়া দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তারা হলেন- এক নারী ও এক শিশু।

নিহতদের পরিচয় পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় স্পষ্ট জানা যায়নি। কারণ তারা এমনভাবে পুড়েছেন যে তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে দুজন নিখোঁজ আছেন। ধারণা করা হচ্ছে, যারা নিখোঁজ আছেন তারাই হয়তো এ দুজন। মরদেহগুলোর আমরা ডিএনএ নমুনা রেখে দিচ্ছি। পরে পরীক্ষার রিপোর্ট এলে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এ সময় তিনি আরো বলেন, যে বাড়ির মালিক এখানে বস্তি করে রেখেছেন, তাতে পানির ব্যবস্থা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা, চলাচলের ব্যবস্থা, রাস্তা সবকিছু সঠিক ছিল কি না তা তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে।

সম্পাদনাঃ রাশেদ রাসেল

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top