তাসের ঘরের মতো যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়বে সরকার
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০২৪, ১৯:৩০
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘সরকারের মূল ভিত্তি হলো জনগণ। ৭ জানুয়ারি জনগণ ভোট বর্জন করে প্রামাণ করেছে তারা সরকারের সঙ্গে নেই। যেহেতু সরকারের সঙ্গে জনগণ নেই, তাই যেকোনো মুহূর্তে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে সরকার।’
আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘নব্য বাংলাদেশ মূলোৎপাটনে শহিদ জিয়ার রাষ্ট্রদর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইউট্যাব)।
মঈন খান বলেন, ‘মানুষের ঐক্য ও ন্যায়ের শক্তির কাছে বন্দুকের শক্তি টিকতে পারে না। সুতরাং সরকারকে বলব- গণতন্ত্রের পথে এসে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিন। নাহলে পরিণতি ভালো হবে না। গুলি, বন্দুক ও টিয়ারগ্যাস দিয়ে মানুষকে পরাভূত করা যাবে। কিন্তু জনগণের ভালোবাসা পাওয়া যাবে না। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। যা বিশ্বের সব গণমাধ্যমে বলা হয়েছে। তবু সরকার বুঝতে পারছে না যে, তাসের ঘরের মতো তারা কখন ধসে যাবে!’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে না। তারা একটি দলের সরকার এবং লগি-বৈঠার রাজনীতি করে। তারা দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। তারা সংবিধানের কথা বলে প্রতারণা করে যাচ্ছে। উন্নয়ন দিয়ে জনগণের মন ভুলিয়ে রাখা যায় না।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘একটি দেশ যখন গণতন্ত্রহীনতায় নিপতিত হয় তখন কেউ বসে থাকতে পারে না। শিক্ষকসহ সব পেশাজীবীকে এগিয়ে আসতে হবে।’
মঈন খান বলেন, ‘আমরা গত ১৫ মাস ধরে লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছি। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। কোনো সহিংস রাজনীতিতে বিএনপি বিশ্বাসী নয়। অথচ বিএনপিকে মৌলবাদী দল হিসেবে বিদেশিদের বোঝানোর বৃথা চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু সেটা বিদেশিরা খায় না। সেজন্যই তো গণতান্ত্রিক বিশ্বের দলগুলো ভুয়া নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন না হলেও সরকার ইলেকশনের নামে সিলেকশনের উৎসব পালন করেছে। অথচ সরকারি দলের লোকেরাও ভোট দিতে যায়নি।’
বিষয়: তাসের ঘর সরকার ড. মঈন খান
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।