মামলা কি সরকার করলো, নাকি শ্রমিক

৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল করেছেন ড. ইউনূস

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০২৪, ১৩:১৪

ছবি: সংগৃহীত

রোববার (২৮ জানুয়ারি) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিল করেছেন তিনি।

গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় ড. ইউনূসের সর্বোচ্চ ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।

তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে ৫ হাজার টাকা বন্ডে জামিন পান ইউনূসসহ ৪ জন। সেই সময়সীমার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি।

ড. ইউনূসের আইনজীবী বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে মামলার বাদী শ্রমিকেরা। তার দাবি, রায়ের ক্ষেত্রেও সেটা ফ্যাক্টসের সঙ্গে ফাইন্ডিংসের মিল নেই। তাই খালাস চেয়ে আপিলে তুলে ধরা হবে ২৫টি যুক্তি। শ্রম ট্রাইব্যুনালে আপিল করার পর আইন অনুযায়ী নোটিশ যাবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে। তবে এখন পর্যন্ত আইনজীবীও নিয়োগ করতে পারেনি সরকারি সংস্থাটি।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমার দিক থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার করা দরকার, সরকার বারবার বলছে, সকল পর্যায়ে থেকে- এই মামলা সরকার করেনি। কিন্তু আপনারা (সাংবাদিক) তো সাক্ষী। আপনারা তো কোনো কিছু বলছেন না। এটা কি সরকার করলো, নাকি শ্রমিক করলো? জবাবটা আমাকে দেন।

 
 

মামলার এজহার থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা শ্রম আইনের লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পারেন। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাঁদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।

মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও আসামি করা হয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top