রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আমি খুব একা আব্বু, আমার কষ্ট হয়

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৪, ১৯:১৩

ছবি: সংগৃহীত

প্রত্যেক রাত তোমার জন্য আমার বালিশ ভিজে যায়। আমি জানি আব্বু তুমি দেখো আমাকে আমি কষ্টে আছি অনেক কিন্তু কি করবে বলো তুমি তো আর কথা বলতে পারো না আমার সঙ্গে। আমি তো এমনটা চাইনি কখনো। আমি খুব একা আব্বু। আমার কষ্ট হয় অনেক অনেক। 

বাবার মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। নিজের ভেতরের কষ্ট ও যন্ত্রণার কথা উল্লেখ করে গতকাল শনিবার রাতে ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

বাবার মৃত্যুর সময়ের কষ্ট ও যন্ত্রণার কথা উল্লেখ করে আরেক স্ট্যাটাসে ডরিন বলেন, আমার বাবা একদিন আমার সঙ্গে গল্প করছিলো। ছোটবেলায় সে বাজার করতে যেতো পরিবারের জন্য। আমার বাবার-ভাই বোন ছিলো ১০ জন। বেশ অনেক বাজার করে নিয়ে আসতে হতো বস্তায় করে। আমার দাদী নাকি কতো আনা করে টাকা দিতো, তারমধ্যে ভ্যান ভাড়া দিতো বাজার করে আসার জন্য।
 
কিন্তু আমার আব্বু ভ্যান ভাড়াটা বাঁচানোর জন্য দুই বস্তা বাজার সব পায়ে হেঁটে হেঁটে বাড়িতে আনতো। পথে নাকি ১০ মিনিট হাঁটতো দাঁড়াতো। আবার হাঁটতো। আবার একটু দাঁড়াতো। এমন করে বাজার নিয়ে আসতো। শুধু মাত্র ভ্যান ভাড়াটা বাঁচানোর জন্য। ওই টাকা আব্বুর কাজে লাগবে এ জন্য কষ্ট করতো। আমার আব্বু জীবনে অনেক কষ্ট করেছে।
 
এখন বললে অনেকে ভাববে গল্প বলছি। তবে গল্প না এটা সত্যি। এমন অনেক কথা আছে। আমার আব্বুর জীবনে অনেক কষ্ট করেছে কিন্তু আজকে সুখের সময় সে নাই। এভাবে চলে গেলো। আমার তো বুকটা ফেঁটে যায় আব্বু তোমার জন্য তোমার কষ্টের কথা ভাবলে।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ছিলেন আনোয়ারুল আজিম। কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউ টাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনে এমপি আনোয়ার খুন হয়েছেন বলে গত বুধবার খবর পাওয়া যায়।

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top