নেপাল থেকে ফিরে সিয়ামকে নিয়ে যা জানালেন ডিবিপ্রধান
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৪, ২০:০০
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সিয়াম কাঠমান্ডু পুলিশের হাতে আটক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। সিয়ামকে ভারতে বা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বা ভারত যার কাছেই সিয়ামকে ফেরত দেয়া হোক হত্যার তদন্তে কোনো সমস্যা হবে না। দুদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হত্যা মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এবং অন্য আসামিদের আটক করে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশের অনেক আসামি অপরাধ করে নেপালে অবস্থান করে থাকে। এই সফরে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যাতে কোনো আসামি নেপালকে সেফহোম বানাতে না পারে সেটা নিয়ে কাজ করার কথা বলেছে নেপাল।
সিয়ামের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, আমাদেরকে আনঅফিসিয়ালি জানানো হয়েছে। তবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। এছাড়া সেখানকার যে সব হোটেলে সিয়াম ছিল সে সবের ফুটজও সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আনার হত্যার পরিকল্পনাকারী শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। শাহীনকে ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এদিকে তদন্ত কাজের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তদারক কর্মকর্তাকে বদলির কারণ জানতে চাইলে ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, তদন্ত কাজে সমস্যা হবে না। রুটিন কাজের অংশ হিসেবে তাকে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে নেপালে সিয়াম হোসেনের আটকের খবরে ১ জুন দেশটিতে যান বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল। গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতা যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৩ মে তিনি খুন হন। ২২ মে কলকাতার নিউটাউনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে হত্যার আলামত পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় ভারতের কলকাতায় তদন্তের পর এবার চার সদস্যর ডিবির একটি টিম নেপালের উদ্দেশে রওনা দেয়। ডিএমপির ডিবির প্রধান হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে ডিবি দলের ৩ সদস্য ও একজন ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সদস্যসহ মোট চারজনের একটি দল নেপালে যায়।
বিষয়: নেপাল সিয়াম ডিবিপ্রধান
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।