ভারতে গেল ১২ টন ইলিশ প্রথম চালানে

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:০৫

সংগ্রহীত

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভারতে যাচ্ছে ইলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রথম চালানে ১২ টন ইলিশ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হয়েছে। দেশের ৪৯টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে। ১২ অক্টোবরের আগেই সংশ্লিষ্টদের ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে। প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১১৮০ টাকা মূল্যে রপ্তানি হচ্ছে।

ইলিশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো, বাংলাদেশের জে এস এন্টার প্রাইজ, সাজ্জাত এন্টার প্রাইজ ও স্বর্ণালি এন্টার প্রাইজ রয়েছে। ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো, আর জে এন্টার ন্যাশনাল ও কেবিসি এন্টার ন্যাশনাল। বন্দর থেকে ইলিশ ছাড়করণে ছিল বাংলাদেশ লজিষ্টিকসহ কয়েকটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। 

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৪৯ জন রপ্তানিকারককে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্ত দেওয়া হয়েছে আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে রপ্তানি। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ ইউএস ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ১১৮০ টাকা। 

বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে জানান বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টিন পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম। প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার করে নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান আসওয়াদুল।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রথম চালানের রপ্তানিকারক সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ এবং বন্দর থেকে ইলিশ ছাড়করণে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল বাংলাদেশ লজিস্টিক। কলকাতার ভারতীয় মাছ আমদানিকারকদের সংগঠন ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এফআইএ) পক্ষ থেকে গত ৯ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়। বিশেষ বিবেচনায় সরকার প্রথমে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। পরে তা কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন নির্ধারণ করা হয়।

বেনাপোল স্থল বন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বেনাপোল স্থল বন্দরের মাধ্যমে ১২ টন ইলিশ ভারতের রপ্তানি করার জন্য আমরা অনুমতি দিয়েছি।

এর আগে গত ১১ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছিলেন, ‘দেশবাসী ইলিশ পাবে না, আর বিদেশে রপ্তানি হবে, এটা হতে পারে না। আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর রপ্তানি করা হবে।’ পরে গত ২১ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির কথা জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, বৃহত্তর স্বার্থে এবং সর্বোচ্চ মহলের সিদ্ধান্তে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হচ্ছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top