স্কুলে ভর্তিতে লটারির ফল প্রকাশ, দেখবেন যেভাবে
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:২৫
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) ১ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে স্কুলে ভর্তি লটারির ফল প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী প্রফেসর এস এম আমিনুল ইসলাম।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের লটারির ফল জানতে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা ঘরে বসেই ডিজিটাল লটারির ফল অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবেন। নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd/) প্রবেশ করে অভিভাবকরা তাদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লটারির ফল ডাউনলোড ও প্রিন্ট দিতে পারবেন। টেলিটক মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে (GSA<Space> Result<Space>User ID লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নাম্বারে) ফল পাওয়া যাবে।
লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলাম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
লটারিতে নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সব কোটা বিবেচনা করা হয়েছে। শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর নিজ নিজ ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাইপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
ফলাফল জানতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা ঘরে বসেই ডিজিটাল লটারির ফলাফল অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটির সভা আহ্বান করে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে মাউশির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে স্কুলে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। এ সময়ে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে। সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২ জন শিক্ষার্থী। আর বেসরকারি স্কুলে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।