কিশোর গ্যাংগের উৎপাতে এলাকাবাসী আতঙ্কে রাত কাটায়

দক্ষিণখান ও উত্তরখানে মাদকের ছড়াছড়ি

মনির হোসেন জীবন | প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৮

ফাইল ফটো

রাজধানীর সর্ব উত্তরের এলাকাটির নাম দক্ষিণখান ও উত্তরখান। এই দু'টি থানা এলাকাটি বর্তমানে মাদকের অবাধ ছড়াছড়ি চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্হানীয় একাধিক বিশ্বস্ত তথ্য কিশোর গ্যাংগের উৎপাতের ফলে এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই ভয়ে রাত কাটায়!  

সংশ্লিষ্ট এলাকা দুটির মোড়ে মোড়ে কিশোর গ্যাংদের আড্ডায় এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। এ সকল কিশোর গ্যাংরা গাঁজা থেকে শুরু করে ট্যাপেনডেনাল পর্যন্ত মরননেশা সেবন করে থাকেন।

নেশার টাকা সংগ্রহ করতে তারা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, ময়লা, ডিশ, ইন্টারনেট সহ রাস্তাঘাট এর ফুটপাতে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে। নতুন কোন ভবন নির্মাণ করতে গেলেই তাদেরকে চাঁদা দিতে হবে। অনেকে ভয়ে তাদের চাঁদার টাকা দিচ্ছে। অনেক সময় টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘাত ও দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছেন।

তারা সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্রও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। উঠতি বয়সী কিশোর গ্যাংরা স্কুল কলেজের মেয়েদের দেখলেই বাজে ইঙ্গিত ও মন্তব্য করেন। এমনকি মাঝ বয়সী নারীরাও তাদের কর্মকান্ড থেকে রেহাই পান না। তাদের কৃতকর্মের প্রতিবাদ করতে গেলেই তারা নিজেদেরকে বর্তমানের একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয় দেয়।

তাদেরকে প্রায় সময় বলতে শোনা যায় আমি অমুক ভাইয়ের লোক আমি তমুক ভাইয়ের লোক। ইতিমধ্যেই এই চাঁদাবাজি নিয়ে দক্ষিণখান থানায় ১/২ মামলা ও হয়েছে। এইসব নেশাগ্রোস্তরা রাতের অন্ধকারে এলাকায় চুরি ছিনতাই এর মত জঘন্য কাজে লিপ্ত রয়েছেন।

লোকমুখে শোনা যায় এদের সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে এলাকার কিছু ভাঙারি দোকানদারদের। এছাড়াও অনেককে বলতে শোনা যায় ৫ ই আগস্টে যে বিপ্লব হয়েছিল সেই বিপ্লবের পর থেকে পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয় প্রায়। থানায় প্রবেশ করলেই দেখা যায় নতুন নতুন মুখের কিছু লোক থানা এলাকাদাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাংবাদিক নিউজ ফ্ল্যাশ ৭১ ডটকমকে বলেন বিগত ১৬ বছরে এদেরকে এলাকায় বা থানায় দেখতে পাওয়া যায়নি। মাদক এবং কিশোর গ্যাং নিয়ে ডিএমপি দক্ষিণখান জোনের এসির সঙ্গে মুঠো ফোনে জানান, আমার নিয়ন্ত্রনাধীন এলাকায় ছিনতাই প্রতিরোধে বিশেষ টিম গঠন করেছি এবং এর সূফলও ইতিমধ্যে পেয়েছে এলাকার জনগন।

কিশোর গ্যাং নিয়েও আমরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে থাকি। তথাপিও আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমরা এদেরকে একেবারেই নির্মূল করে ছাড়বো। মূলত এরাই মাদক সেবী।

সম্পাদনা: রাহুল রাজ




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top