বদলে যাচ্ছে বিএসএমএমইউর নাম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আগের নামের বদলে নতুন নামের ব্যানার টানানো হয়েছে। ব্যানারে এর নাম দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)। শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ব্লকের ভবনের সামনে এসব ব্যানার দেখা যায়।

শনিবার সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, বিএসএমএমইউয়ের সি-ব্লকের আগের সাইনবোর্ড নামিয়ে সেখানে ‘বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। আর ডি-ব্লকের পুরোনো সাইনবোর্ডের উপরে বসানো হয়েছে নতুন সাইনবোর্ড।

বিএসএমএমইউ পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন বলেছেন, সাইনবোর্ড পাল্টানোর দাপ্তরিক কোনো আদেশ তারা এখনও পাননি।

তিনি বলেন, “গত দুদিন ধরে যে রিফর্মের একটা, ইয়ে ছিল তারা হয়ত লাগিয়ে দিয়ে গেছে। তারা হয়ত নামটা চায় না। অফিসিয়ালি কোনো নাম পরিবর্তন হয়নি। আমরা এখনই ওই সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলছি না, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।”

ডা. এ কে আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অনেকগুলো নাম আমাদের প্রস্তাবনায় রয়েছে। ছাত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করেই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে অচিরেই নতুন প্রজ্ঞাপন আসবে।

নতুন নামের এ ব্যানার সকালেই দেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের একান্ত সচিব ডা. মো. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব। তিনি বলেন, ছাত্ররা যে নাম দিয়েছে, সেটিসহ আরও কিছু নাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবনায় রয়েছে। নাম পরিবর্তন নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলমান। আগামী দুই-তিন কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে দাপ্তরিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

ইনস্টিটিউট অব পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল রিসার্চ সংক্ষেপে পিজি হাসপাতাল। ১৯৭১ পরবর্তী সময় এ নামেই হাসপাতালটি পরিচালিত হতো।

১৯৯৮ সালের তৎকালীন সরকার প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেয়। সে সময় থেকেই দেশের উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা ও গবেষণার জন্য এটির সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি হয়। ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে ইনস্টিটিউট অব পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল রিসার্চ নামে প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন হয় ১৯৯৮ সালে। জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে পিজি হাসপাতালের নাম বদলে ফেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার। সেই নাম আবার বদলে যাচ্ছে। নতুন করে হাসপাতালটির নামকরণ হবে।

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধু নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড খুলে ফেলেন প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত একদল চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লক ভবনে টানানো সাইনবোর্ড, পরে আরও কয়েকটি স্থান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম খুলে ফেলেন তারা।