বৃহঃস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১

ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত সেনাপ্রধান

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৩

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সপ্তম কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী সেনানিবাসে ‘রেজিমেন্ট অব দ্য মিলিনিয়াম’ হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে (বিআইআরসি) যথাযোগ্য সামরিক মর্যাদায় এই অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় সেনাপ্রধানকে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী রেজিমেন্টের কর্নেল র‍্যাংক পরিয়ে দেওয়া হয়।

পরে তিনি সবার উদ্দেশে বক্তব্য দেন। রেজিমেন্টের সপ্তম কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় এ রেজিমেন্টের অবদানের কথা উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং রেজিমেন্টের প্রতিটি সদস্যকে অভিনন্দন জানান। এছাড়াও আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে এই রেজিমেন্টের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা লাভের পর অতি অল্প সময়ের মধ্যে কঠোর পরিশ্রম, সময়োপযোগী পরিকল্পনা এবং দেশপ্রেমের দৃঢ় অঙ্গীকারের মাধ্যমে আজকের এই মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আসীন হয়েছে। এ রেজিমেন্ট কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১১ সালে জাতীয় পতাকা লাভের দুর্লভ সম্মানে অধিষ্ঠিত হয়েছে।’

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। এ রেজিমেন্ট ইতিমধ্যে আধুনিকায়ন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠা, আধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামাদি সংযোজনসহ উন্নয়ন ও কল্যাণমুখী কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমি কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট হিসেবে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সংগ্রহ এবং এর চলমান প্রক্রিয়াকে আরও বেগবান করব।’

সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘রেজিমেন্টের প্রত্যেকটি সদস্যকে পেশাদার ও প্রশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে আমি সর্বদা বদ্ধপরিকর। পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি একটি সুন্দর জীবনমানও আমাদের কাম্য। যেকোনো কল্যাণমুখী কার্যক্রমের জন্য আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকব। এ ব্যাপারে আমি রেজিমেন্টের সব সদস্যের সহযোগিতা কামনা করছি।’

ওয়াকার-উজ-জামান আশা প্রকাশ করেন, রেজিমেন্টের সব সদস্য তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পেশাদারির সঙ্গে পালন করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব, এই রেজিমেন্টের সকল সদস্য দেশের প্রয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকবেন।’

অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, অন্যান্য অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য এবং গণমাধ্যমের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন উপলক্ষে সেনাপ্রধানের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এই রেজিমেন্টের সদস্যদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি ও রেজিমেন্টের প্রতিটি সদস্যের মাঝে আগামী দিনে দেশ সেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top