মসজিদ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে ৩ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৫১

ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরে বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে তিন ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের সরদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহত তিন ভাই হলেন আতাউর রহমান সরদার ওরফে আতাবুর (৩৫), সাইফুল ইসলাম ওরফে হিটার সাইফুল (৩০) ও তাঁদের চাচাতো ভাই পলাশ সরদার। তাঁদের মধ্যে আতাউর ও সাইফুল সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের সরদার বাড়ি এলাকার আজিবর সরদারের ছেলে। এর মধ্যে সাইফুল খোয়াজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। আর পলাশ একই এলাকার মুজাম সরদারের ছেলে।

হামলার সময় বসতঘরেও ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুজন হলেন তাজেল হাওলাদার (১৮) ও অলিল সরদার (৪০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের খোয়াজপুর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডে বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শাজাহান ও মতিন মোল্যার সঙ্গে একই এলাকার সাইফুলের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে শনিবার ১০টার দিকে শাহজাহানের লোকজন আতাউরের বাড়িতে হামলা করে। এতে আতাউরের লোকজন বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

একপর্যায়ে সাইফুল ও আতাউর মসজিদে আশ্রয় নেয়। পরে সেখান থেকে তাদের টেনেহিঁচড়ে ও কোপাতে কোপাতে বাইরে বের করে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ভাই সাইফুল ও আতাউর মারা যান।

এছাড়া আরেক ভাই অলিল ও স্থানীয় পলাশসহ তিনকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ সময় আতাউর ও তার আত্মীয়দের প্রায় ৭ থেকে ৮টি ঘরে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাতক চাকমা বলেন, বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু‘গ্রুপের সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top