তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেক্টর কমান্ডারের ভূমিকায় ছিলেন। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার বীর উত্তম খেতাবে অভিনন্দিত করেছিল তাঁকে। ইতিহাসের পালাবদলে একটা সময়ে যিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন। তিনি জিয়াউর রহমান। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদান রাখেন তিনি।
২০০৩ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকার এ সম্মানে ভূষিত করে তাদের। অথচ ক্ষমতায় এসে সম্মান বহাল রাখে শেখ হাসিনার সরকার। কেড়ে নেয় খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমানের পদক।
২০১৬ সালের ২৬ আগস্ট। সরকারি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহার করা হয়। জাতীয় জাদুঘর থেকে ওই পুরস্কারের মেডেল ও সম্মাননাপত্রও সরিয়ে ফেলা হয়। সে সময় সরকার দাবি করে, একই সঙ্গে দুজনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে জিয়াউর রহমানকে শেখ মুজিবের কাছাকাছি নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো। তাই ইতিহাস বিকৃতি ঠেকাতে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শেখ মুজিবের নামে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি একজন সেক্টর কমান্ডারও ছিলেন। তাঁকে বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিল শেখ মুজিবের সরকার। এতো কিছুর পর তার স্বাধীনতা পুরস্কার কেড়ে নেওয়ায় সেই সময় তীব্র প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছিলেন দেশের বিশিষ্টজনরা।
তবে গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় অন্তর্বর্তী সরকার। ইউনূস সরকার আবারও ফিরিয়ে দিলো জিয়ার সেই স্বাধীনতা পদক। গেল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের স্বাধীনতা পদক ঘোষণা সংক্রান্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা আসে।
বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ে জিয়াউর রহমানকে ২০০৩ সালে দেওয়া মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করা হয়েছিল। সেই রায়ে তার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের কোনো নির্দেশনা ছিল না। তাই মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ অবদান বিবেচনায় স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকার স্থগিত করেছে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।