রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১

হাসনাত ও আসিফের বক্তব্যে রাজনীতিতে উত্তাপ, রাজনৈতিক অঙ্গনে শঙ্কা

সেনানিবাসে বৈঠকের কথা ফাঁস করলেন হাসনাত , কী বলা হল তাকে?

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৫, ১৪:৪৫

ছবি: সংগৃহীত

আবারও বোমা ফাটালেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাসনাতের যে আলোচনা হয়েছে, তা রাজনৈতিক অঙ্গনে শঙ্কার জন্ম দিয়েছে।

নিজের ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লিখেছেন,  কিছুদিন আগে আপনাদের বলেছিলাম যে, রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন চৌধুরী, তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির এ নেতা লিখেছেন, তিনিসহ আরও দুই জনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ওই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। তাদেরকে বলা হয়, তারা যেন আসন সমঝোতার বিনিময়ে ওই প্রস্তাব মেনে নেয়।

আমাদেরকে বলা হয়– এরইমধ্যে কয়েকটি রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দল থাকা নাকি ভালো।

আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগকে ফিরতে বাধা দিলে দেশে চরম সংকট সৃষ্টি হবে। তার দায়ভার আমাদের নিতে হবে। এবং আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক। হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেন, কথাবার্তার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে অপরপক্ষ থেকে বলা হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া ইনক্লুসিভ ইলেকশন হবে না।

হাসনাতের বক্তব্য নিয়ে উত্তাপের মধ্যে ভিডিওবার্তায় অভ্যুত্থানের আরেক ছাত্রনেতা তুললেন ভিন্ন অভিযোগ। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হন, তা চাননি সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। কিন্তু ছাত্রনেতাদের অনড় অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত মেনে নেন।

৬ অগাস্ট বঙ্গভবনে ওই বৈঠকের ঘটনা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, সেনাপ্রধানের দিক থেকে মূল ভেটোটা (আপত্তি) ছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন? হোয়াই নট এনি আদার পারসন? ড. ইউনূসের নামে মামলা আছে। তিনি একজন কনভিকটেড পারসন । একজন দণ্ডিত ব্যক্তি কীভাবে আসলে একটা দেশের প্রধান উপদেষ্টা হতে পারে?

আসিফ মাহমুদ বলেন, সেনাপ্রধান লাস্ট, আমার মনে পড়ে আমাদের বলেছিলেন, আমি বুকে পাথর চাপা দিয়ে এই সিদ্ধান্তটা মেনে নিচ্ছি।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরাসরি অবস্থান না জানিয়ে বিএনপি বলছে, ক্ষমতাচ্যুত দলটির রাজনীতিতে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের মত রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম চালানোর অধিকারের বিষয়টি জনগণের রায়ের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। আইন করে বা চাপিয়ে দিয়ে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা ভালো বার্তা বহন করে না।

 

 

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top