প্রচলিত শ্রম আইনে গৃহকর্মীদের অন্তর্ভুক্তির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২১, ২১:৩৭

প্রচলিত শ্রম আইনে গৃহকর্মীদের অন্তর্ভুক্তির দাবি

গৃহকর্মীদের অধিকার-মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতে বর্তমান শ্রম আইন ২০০৬-এ তাদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছে কয়েকটি সংস্থা এবং এনজিও। ৩মার্চ বুধবার, রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান তারা।

গৃহকর্মীদের সুরক্ষা, অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কয়েকটি সংস্থার যৌথভাবে পরিচালিত সুনীতি প্রকল্পের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম। গৃহকর্মীদের কল্যাণে সরকার আন্তরিক আছে বলে জানান তিনি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব বলেন, বাসাবাড়ী বা গৃহস্থালী কাজে নিয়োজিতরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই এধরণের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সচেতন রয়েছে সরকার। বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের অধিকার ও কল্যাণ বাস্তবায়নে সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এবং গণস্বাক্ষরতা অভিযান।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. দীপঙ্কর দত্ত, নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি, গৃহকর্মী অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী আবুল হোসাইন, শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ –স্কপের যুগ্ম-সমন্বয়কারী নূর কুতুব আলম এবং গৃহকর্মীদের প্রতিনিধিরা।

মতবিনিময় সভায় তুলে ধরা হয়, বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের পরিসংখ্যান এবং বঞ্চনার চিত্র। বক্তারা জানান, রাজধানীসহ সারাদেশে গৃহকাজে নিয়োজিত আছে প্রায় ২০ লাখ গৃহকর্মী যাদের শতকরা ৮০ভাগই নারী। আবার গৃহস্থালী কাজে নিয়োজিত নারীদের বেশিরভাগের বয়স ১৮বছরের নিচে। সংস্থাগুলোর জরিপে উঠে এসেছে; কাংখিত মজুরী, অধিকার ও মর্যাদা না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট প্রায় সব গৃহকর্মী। আবার গৃহকর্মীদের দক্ষতা-যোগ্যতা ও কাজে সন্তুষ্ট নন গৃহকর্তা বা নিয়োগকারী। তাই এ সমস্যা সমাধানে গৃহকাজ এবং গৃহকর্মীদের আইনী কাঠামোতে আনার আহবান জানান বক্তারা।

এনএফ৭১/জুআসা/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top