উনিশশো একাশি
খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ ও বিএনপির পরিবর্তন
স্টাফ রিপোটার, ঢাকা | প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:২৯
উনিশশো একাশি সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হলে খালেদা জিয়া তখন দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থান করছিলেন। বিএনপি তখন রাজনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত এবং দলের মধ্যে বিরোধ ও দ্বিধা দেখা দিয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যার পর ভাইস-প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আব্দুস সাত্তার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন। তবে তার বার্ধক্য ও রাজনৈতিক অদক্ষতার কারণে সামরিক শাসকরা তাকে দুর্বল হিসেবে দেখতেন। তখন দলের কিছু নেতা চেয়েছিলেন কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণ হোক, কিন্তু সেনাপ্রধান জেনারেল এইচ এম এরশাদের ইচ্ছানুযায়ী আব্দুস সাত্তারকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রণয়ন করা হয়।
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে মতভেদের মধ্যে খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে আনা হয়। শুরুতে রাজনৈতিকভাবে আগ্রহহীন ছিলেন খালেদা জিয়া। জিয়াউর রহমানের আকস্মিক হত্যাকাণ্ড এবং পারিবারিক অনীহা তার রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বিলম্বিত করেছিল। তবে দলের নেতা-কর্মীরা অবিরাম বোঝানোর পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
১৯৮২ সালের ৩রা জানুয়ারি তিনি বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করেন এবং ৭ই নভেম্বর জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রথমবার রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেন। ১৯৮২ সালের মার্চে সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান হন এবং অবশেষে ১৯৮৪ সালের ১০ মে বিএনপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে দেশজুড়ে খালেদা জিয়ার পরিচিতি বৃদ্ধি পায়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে এবং ১০ বছরের মধ্যেই তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকেন।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি এবং তখন থেকে কারাগারে ছিলেন। বর্তমানে তিনি সরকারী নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে আছেন, তবে রাজনীতিতে সক্রিয়তা এবং বিদেশ যাত্রা সীমিত।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।